খুলনা: পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে খুলনায় বিএনপির ৮০০ নেতাকর্মীদের নামে মামলা করা হয়েছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, খুলনা জেলা আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান, মহানগর সদস্য শফিকুল আলম তুহিন, জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পি, কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগরসহ ৫৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয়ে আরও ৮০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
খুলনা সদর থানার উপ-পরিদর্শক ( এসআই) অজিত কুমার দাস বাদী হয়ে শনিবার (১ এপ্রিল) রাতে এ মামলা দায়ের করেন।
রোববার (২ এপ্রিল) সকালে এসআই অজিত বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এখন পর্যন্ত এ মামলায় ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এজাহারনামীয় ৫৯ আসামী হলেন-
১। ইশারাত ইসলাম (২৩) ,২। শেখ কামাল উদ্দিন(৪৭), ৩। মোঃ জালাল হোসেন (৩৫), ৪। মোঃ রাজু শেখ(২৮), ৫। আব্দুল হাই রুমি(৪৬), ৬। দেলোয়ার হোসেন জসিম (৩৪), ৭। মিজানুর রহমান (৩২), ৮। আজিজুল বারী হেলাল (৫২), ৯। আমির এজাজ খান (৫৮), ১০। শফিকুল আলম তুহিন(৫৫), ১১। মনিরুল হাসান বাপ্পি (৫৪), ১২। তরিকুল ইসলাম জহির (৫৫), ১৩। মাহাবুব হাসান পিয়ারু (৪৫), ১৪। মোঃ ইসতিয়াক আহম্মেদ ইস্তি(২৮), ১৫। মোঃ তাজিম বিশ্বাস (২৮), ১৬। আব্দুল মান্নান মিস্ত্রী (৩২), ১৭। মোঃ মাসুদ পারভেজ বাবু(৩৫), ১৮। হেলাল আহম্মেদ সুমন (৩৮), ১৯। একরামুল হক হেলাল ( ৮৮ ), ২০। মোঃ নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর (৪২), ২১। ইবাদুল হক রুবায়েত (৩৬), ২২। মোঃ মতিউর রহমান বুলেট (৪৫), ২৩। চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ (৪৫), ২৪। কিমিয়া সাদাত (৩৪), ২৫। শেখ সাদী (৩৮), পিতা-শেখ নুরুল ইসলাম, ২৬। হেলাল হোসেন গাজী (৩৩), ২৭। বেলাল হোসেন গাজী (৩০), ২৮। মোঃ ফরিদ মোল্যা(৪৮), ২৯। নাইম (৪০), ৩০। গাউসুল গাউস (৪৫), ৩১। মোঃ রবি (৩৮), ৩২। মোঃ জামাল (৪৫), ৩৩। খান জুলফিক্কার আলী জুলু (৫০), ৩৪। মোঃ নাছিম (৪০), ৩৫। আমিন (৩৫), ৩৬। আসাদ মৃধা (৪৫), ৩৭। টুকু(৪৫), ৩৮। কবির ফরাজী (৩৫), ৩৯। সেলিম হোসেন মন্টু (৪৫), ৪০। গাজী আফসার (৪৫), ৪১। শহীদ খান (৫০), ৪২। বাদশা ইসলাম (৪৮), ৪৩। সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন পরাগ (৫০), ৪৪। শেখ খায়রুল ইসলাম হিরু (৫০), ৪৫। শেখ জামাল উদ্দিন(৫৫), ৪৬। নুর আলম নুরু(৪৫), ৪৭। রিয়াজুল কবির (৪২), ৪৮। সোহেল (৪২), ৪৯। সৈয়দ মোঃ জুয়েল জুলু(৩৫), ৫০। রফিকুল ইসলাম শান্ত(৪০), ৫১। মিজানুর রহমান বাবু(৪২), ৫২। মোঃ দেলোয়ার হোসেন খান (৪৩), ৫৩। শেখ মির্জা মাহামুদ(৪৮), ৫৪। কাজী মোঃ মিজানুর রহমান(৪৮), ৫৫। মোঃ আলামিন শেখ(৪৫), ৫৬। হুমায়ুন কবির পলাশ (৪৩), ৫৭। মোঃ সাহিদুল ইসলাম(৫১), ৫৮। মফিজুল সরদার(২)মাফিজুল (৪৫) ও ৫৯। শেখ মোঃ আব্দুল্লাহেল কাফি (হ) শখা (৩৮)।
উল্লেখ্য, শনিবার (১ এপ্রিল) বিকেলে মহানগরীর কেডিঘোষ রোডের বিএনপি অফিসের সামনে বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ ও ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
পুলিশের ছোড়া টিয়ারশেল ও রাবার বুলেটে ৫নং ঘাটভোগ ইউনিয়ন বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ কবির শেখ, রূপসা উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব রুবেল মীর, বটিয়াঘাটা উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব বাহাদুর মুন্সী, ডুমুরিয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক শাহিন মোল্লা, ডুমুরিয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক তামিম মোল্লা, খুলনা জেলা যুবদলের সাজু হাওলাদার, খুলনা জেলা ছাত্রদলের মনিরুজ্জামান নয়ন হাওলাদার, ইয়াসিন, ফিরোজ মাহমুদ, ইসমাইল হোসেন, ইবাদুল হক রুবায়েত, ইস্তিয়াক আহমেদ ইস্তিসহ ১৫/২০ নেতাকর্মী আহত হয় বলে দাবি করেন বিএনপি নেতারা।
অপরদিকে পুলিশ বলছে, আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটনোর চেষ্টা ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে গ্যাসগান ও শটগান থেকে গুলি ছোড়া হয়। বিএনপির ইটপাটকেলের আঘাতে পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত হন।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০২৩
এমআরএম/এসএএইচ