ঢাকা: ঈদযাত্রায় অসহনীয় যানজট ও যাত্রী ভোগান্তি কমাতে সরকারি ছুটি একদিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
রোববার (২ এপ্রিল) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব ল মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগের বছর হওয়ার এবারের ঈদে বেশি মানুষ গ্রামের বাড়ি যাবে। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি মনে করে, এবারের ঈদে ঢাকা থেকে ১ কোটি ২০ লাখের বেশি মানুষ দেশের বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করবে। এ ছাড়া এক জেলা থেকে আরেক জেলায় আরও প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ ঈদে বাড়ি যেতে পারে।
এর ফলে আগামী ১৬ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়তি প্রায় ৯০ কোটি ট্রিপ যাত্রীর যাতায়াত হতে পারে। ১৮ এপ্রিল বেতন-বোনাস পাওয়ার পর ১৯ এপ্রিল থেকে প্রতিদিন প্রায় ৪০ থেকে ৫০ লাখ হারে মানুষ রাজধানী ছাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
তিনি বলেন, এ ঈদে গণপরিবহনের মধ্যে সড়কপথে ৬ থেকে ১০ লাখ, নৌপথে ৮ থেকে ১০ লাখ ও রেলপথে দেড় লাখ যাত্রী অভারলোড হয়ে যাতায়াত করতে পারে। কিন্তু ২০ এপ্রিল অফিস খোলা থাকায় এই লাখ যাত্রীর একটি বড় অংশ আটকে যাচ্ছে। এই কারণে ২০ এপ্রিল সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হলে যাত্রী চাপ কিছুটা কমতে পারে।
ছুটি বাড়ানো না হলে ২১ এপ্রিল সড়ক-রেল-নৌ পথের পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
ঈদে ঘরমুখো মানুষকে তীব্র যানজট থেকে মুক্তি দিতে রাজধানীর সকল পথের ফুটপাত, হকার ও অবৈধ পার্কিং মুক্ত করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্টদের কাছে দাবি জানান যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাবেক সভাপতি আবু জাফর সূর্য বলেন, বৃহত্তর মানুষকে ঈদে বাড়ি পৌঁছে দিতে রাষ্ট্রের দায়িত্ব রয়েছে। মানুষকে নিরাপদে পৌঁছে দেন।
মহাসড়কে দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, একটি মহাসড়কে নানা ধরনের গাড়ি চলে। ভটভটি, নছিমনের মতো অন্য পরিবহনের গতি একই রকম নয়। ফলে দুর্ঘটনা বাড়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৩, এপ্রিল ২, ২০২৩
এনবি/ আরএইচ