ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ঢাকার বেশিরভাগ মার্কেটই অগ্নিঝুঁকিতে: ফায়ার সার্ভিস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০২৩
ঢাকার বেশিরভাগ মার্কেটই অগ্নিঝুঁকিতে: ফায়ার সার্ভিস

ঢাকা: ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর জানিয়েছে রাজধানী সুপার মার্কেট, গাউছিয়া মার্কেট, নিউমার্কেট, চকবাজার ও ঠাটারি বাজারের কয়েকটি মার্কেটসহ ঢাকার বেশিরভাগ মার্কেটই অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকিতে আছে।

বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) ফায়ার সার্ভিস, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ও প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা পরিদপ্তরের (জিজিএফআই) একটি সমন্বিত দল গাউছিয়া মার্কেট পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শন শেষে পরিদর্শক দলের প্রধান ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স ঢাকা সদর জোন-১ এর উপ-সহকারী পরিচালক মো. বজলুর রশিদ এমন মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, মার্কেটগুলো ফায়ার সার্ভিসের চাহিদা ফুলফিল করতে পারেনি। ঢাকার বেশিরভাগ মার্কেটই আমাদের চোখে ঝুঁকিপূর্ণ।

গাউসিয়া মার্কেট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ মার্কেটের ছয়টি সিঁড়ি রয়েছে, কিন্তু সিঁড়িগুলো উন্মুক্ত নয়। দোকান বসার কারণে সবগুলোই অপ্রশস্ত হয়ে পড়েছে। কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে এসব সিঁড়ি দিয়ে পর্যাপ্ত মানুষ নামতে পারবে না। বৈদ্যুতিক তার যেখানে-সেখানে ঝুলে রয়েছে। এছাড়া মার্কেটটিতে স্বয়ংক্রিয় ফায়ার এলার্ম ব্যবস্থা স্থাপনের কথা বলা হয়েছিল সেটিও এখনও করা হয়নি।

তিনি আরও বলেন, এ মার্কেটে ৪৩০টি দোকান রয়েছে। মার্কেটের ওপরের তলাগুলোতে পাইকারি ব্যবসায়ীদের অফিস ও গুদাম। মার্কেটে ফায়ার এক্সটিংগুইশার আছে, এছাড়া যা যা থাকা দরকার তা নেই।

তিনি বলেন, ২০২০ সালে মার্কেটটিতে একটি মহড়া হয়েছিল। মহড়া শেষে বেশ কিছু সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল, যার কিছু বাস্তবায়ন হয়েছে। দুর্ঘটনা ঘটলে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নেভাতে কাজ করবে, সেজন্য পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থাও এখানে নেই। রিজার্ভ পানি থাকলেও সেটা পর্যাপ্ত নয়। এ মার্কেটে ফায়ার টিম আছে বলে জানিয়েছেন মালিক সমিতি, তবে তার অস্তিত্ব পাইনি।

এ সময় গাউছিয়া মার্কেট মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ কামরুল হাসান বাবু বলেন, দু’বছর আগে ফায়ার সার্ভিস যে নির্দেশনা দিয়েছে তা পরিপূর্ণ করেছি। আমাদের ফায়ার সার্টিফিকেট আছে। এছাড়া সব ভবনেই কিছু ত্রুটি থাকে, আমাদের এখানে আউটডোরসহ যে ত্রুটি আছে তা দু-একদিনের মধ্যে সমাধানের চেষ্টা করব।  

সিঁড়ির মধ্যে দোকান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এসব দোকান বসাতে সমিতির কোনো দায় নেই। কর্তৃপক্ষ যাদের দোকান বরাদ্দ দিয়েছে তারা জানেন এ বিষয়ে। সমিতির সভাপতি হিসাবে দোকান বরাদ্দ দেওয়ার কাজ আমার না। এরপরও ফায়ার সার্ভিস এসব দোকান সরাতে বলছে, আমরা কমিটির সবাই বসে সিদ্ধান্ত নেবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০২৩
পিএম/জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।