শরীয়তপুর: টিকটকে পরকিয়া প্রেমের জেরে স্বামীর সবকিছু নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছেন শরীয়তপুরের এক প্রবাসীর স্ত্রী।
সম্প্রতি জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার ছয়গাঁও ইউনিয়নের পাপরাইল গ্রামে ঘটে এমনই ঘটনা।
অভিযুক্তের নাম অনামিকা মন্ডল। তিনি ওই গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী শংকর হালদারের স্ত্রী।
জানা গেছে, সাত বছর আগে ২০১৬ সালে ভেদরগঞ্জ উপজেলার রামভদ্রপুর ইউনিয়নের রতন মন্ডলের মেয়ে অনামিকার সঙ্গে বিয়ে হয় ছয়গাঁও ইউনিয়নের পাপরাইল গ্রামের শংকর হালদারের। বিয়ের পরেই শংকর পারি জমান মালয়েশিয়া। শংকর তার স্ত্রীর নামে ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলেন এবং সেই অ্যাকাউন্টেই প্রবাস থেকে টাকা পাঠান।
এদিকে, তার স্ত্রী অনামিকা ঘরে বসে টিকটক করতেন এবং পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। সম্প্রতি শংকর দেশে আসেন এবং গত ২৯ মার্চ সপরিবারে পূণ্যস্নানে নারায়ণগঞ্জের লাঙ্গলবন্দের ব্রহ্মপুত্র নদে যান। সেই সুযোগে শংকরের স্ত্রী অনামিকা মন্ডল ঘর থেকে নগদ অর্থ, তার নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের চেক বই ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যান পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে। এ সময় ঘরে থাকা আসবাবপত্র, লেপ-তোষক, কম্বল কেটে এবং ফ্রিজ ও বাসনপত্র ভেঙে নষ্ট করে রেখে যান।
এ ঘটনায় আজ (৭ এপ্রিল) ভেদরগঞ্জ থানায় শংকর হালদারের ভাই ভরত চন্দ্র হালদার মৌখিক অভিযোগ করেন এবং পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
শংকরের বোন পুতুল হালদার অভিযোগ করে বলেন, আমার ভাইয়ের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার পর থেকেই ঝামেলা করতো সে। আমার ভাই বিদেশ যাওয়ার পর সব সময় খারাপ আচারণ করতো। ঘরে বসে সময় টিকটক করতো। আজ আমার ভাইকে নিঃস্ব করে সব নিয়ে চলে গেলো। আমরা প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার দাবি করছি।
শংকরের ভাই ভরত চন্দ্র হালদার বলেন, আমরা স্বপরিবারে নারায়ণগঞ্জের লাঙ্গলবন্দে পূণ্যস্নানের তীর্থে গেলে সে (অনামিকা) ঘরে একা থেকে যায়। সেখান থেকে ফিরে দেখি সে নাই। ঘর থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে এবং ঘরের সব কিছু নষ্ট করে দিয়ে গেছে।
এদিকে, অভিযুক্তের পিতা রতন মন্ডল বলেন, আমার মেয়েকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করছি, কোথায়ও পাইনি। দুই একদিন আগে একটি ছেলের সঙ্গে টিকটকে ছবি দেখেছি তার।
ছয়গাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান লিটন মোল্লা বলেন, টিকটকের মাধ্যমে সম্পর্কে করে আমার ইউনিয়নের শংকর হালদার নামে এক প্রবাসীর স্ত্রী সব কিছু নিয়ে চলে গেছে। এটা খুবই গর্হিত কাজ। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাই। প্রশানের কাছে এ পরিবারের ন্যায় বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে ভেদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহালুল খান বাহার বলেন, পাপরাইল থেকে এক প্রবাসীর পরিবার থানায় এসেছিল, মৌখিক অভিযোগ দিয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০২৩
এনএস