ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সহজ ডটকমের সার্ভারে সমস্যা, টিকিটপ্রত্যাশীদের ভোগান্তি চরমে 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ৮, ২০২৩
সহজ ডটকমের সার্ভারে সমস্যা, টিকিটপ্রত্যাশীদের ভোগান্তি চরমে 

ঢাকা: ঈদযাত্রার দ্বিতীয় দিনের রেলের টিকিট কাটতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন রেলের টিকিটপ্রত্যাশীরা। আবার টিকিট কালোবাজারির পুরোনো অভিযোগ নতুন করে তুলছেন যাত্রীরা।

 

শনিবার (৮ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে টিকিট বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হলে রেলের টিকিট বিক্রির দায়িত্বে থাকা সহজ ডটকমের সার্ভারে জটিলতায় যাত্রীরা সমস্যায় পড়েন। টিকিট কাটতে পারছেন না তারা।

গতকালের (শুক্রবারের) মতো আজ শনিবারও প্রচণ্ড চাপ ছিল উত্তরবঙ্গের ট্রেনের টিকিটের। যদিও গতকালের মতো ১ মিনিটের মধ্যে সব টিকিট বুকড হয়ে যায়নি। তবে তাতে লাভ হয়নি। টিকিটপ্রত্যাশীরা পড়েছেন নতুন ভোগান্তিতে।

সার্ভার জটিলতায় অনেকে 'রেলসেবা' অ্যাপে ঢুকতে পারেননি। অনেকে আবার অ্যাপে ঢুকতে পারলেও টিকিট বুকিং অপশনে ক্লিক করার পরে দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকছে, পরবর্তী ধাপে সিলেক্ট হলেও টিকিট পারচেজ হয়নি অনেকের।

'বাংলাদেশ রেলওয়ে হেল্পলাইন' নামক দেড় লাখ রেলযাত্রীদের একটি ফেসবুক গ্রুপে নিজেদের নানা ভোগান্তি তুলে ধরেছেন যাত্রীরা।  

এমডি জাভেদ নামে একজন লিখেছেন, গত দুই ঘণ্টা ধরে সার্ভারের এই অবস্থা লগইন করা যাচ্ছে না, কিন্তু টিকিট সেল হয়ে যাচ্ছে।

বখতিয়ার রহমান নামে অপর একজন লিখেছেন, কোনোভাবেই সার্ভারে ঢোকা গেল না।

চাহিদা থাকা সত্ত্বেও উত্তরবঙ্গে স্পেশাল ট্রেন না দেওয়ার সমালোচনাও করছেন অনেকে।

মাসুদ রানা নামে এক যাত্রী লিখেছেন, কি আশ্চর্য বিষয় সিলেটে টিকিট নেওয়ার মতো মানুষ নেই। অথচ আমাদের উত্তরবঙ্গে ৮ টার পরপরই টিকিট খুঁজে পাওয়া যায় না। তাহলে সিলেটে এত ট্রেন দেওয়ার মানে কী! ঈদ উপলক্ষেও তো রংপুর বিভাগের জন্য ২টা ট্রেন বেশি দিতে পারত!

টিকিট বিক্রির দ্বিতীয় দিনে যাত্রীদের এ ভোগান্তির বিষয়ে জানতে চেয়ে সহজ জেভির নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দ্বীপ দেবনাথকে কয়েকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

তথ্য বলছে, উত্তরবঙ্গের একতা, দ্রুতযান, পঞ্চগড় এক্সপ্রেস, লালমনি এক্সপ্রেস, রংপুর এক্সপ্রেস ও কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসের টিকিট শেষ হতে সময় নেয় দুই ঘণ্টা।

ঢাকা থেকে রাজশাহীতে চলমান চারটি আন্তনগর ট্রেন- পদ্মা, সিল্কসিটি, ধুমকেতু ও বনলতা এক্সপ্রেসের টিকিটও শেষ হয় সাড়ে ৯টার দিকে।  

যশোর ও খুলনাগামী সুন্দরবন ও চিত্রা এক্সপ্রেসে যশোরের মাত্র ৫ সিট খালি থাকলেও খুলনার প্রায় ২০০ সিট খালি রয়েছে। অন্যদিকে বেনাপোল রুটের বেনাপোল এক্সপ্রেসে খালি রয়েছে ২৪টি সিট।

সিলেট রুটের কালনী, পারাবত, জয়ন্তিকা, উপবন এক্সপ্রেসের টিকিট এখনও পাওয়া যাচ্ছে।  

একইসঙ্গে চট্টগ্রাম রুটের চট্টলা, সুবর্ণা, সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের টিকিটও পাওয়া যাচ্ছে।  

তবে ময়মনসিংহ, জামালপুর রুটের চলাচলকারী অগ্নিবীণা, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, জামালপুর ও তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিটের চাহিদাও ছিল অনেক। তবে এ রুটের যাত্রীদের টিকিট কাটতে ভোগান্তি পোহাতে হয়নি।  

সকাল ১০টা ৫০ মিনিটের সময় এ রুটের ৩ হাজার টিকিটের মধ্যে মাত্র ১৫টি অবিক্রীত ছিল।

অন্যদিকে ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা রুটের মোহনগঞ্জ ও হাওর এক্সপ্রেসের দেড় হাজার টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। চাহিদা থাকলেও এ রুটে যাত্রীদের টিকিট কাটতে ভোগান্তির কথা শোনা যায়নি। সকাল ১০টা ৫০ মিনিটের সময় এ রুটের অবিক্রীত টিকিট ছিল ১৯টি।

বাংলাদেশ সময়: ১১১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৮, ২০২৩    
এনবি/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।