ঢাকা: নোয়াখালীর কবিরহাটে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. রাসেলকে (৩৫) ১৪ বছর পর গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-২)।
গ্রেপ্তার রাসেল নোয়াখালী জেলার সুধারাম সদর থানার আব্দুল হকের ছেলে।
শনিবার (৮ এপ্রিল) র্যাব-২ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন খান বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, শুক্রবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা রাজধানীর ধোলাইখাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঘটনার বিষয়ে আনোয়ার হোসেন জানান, ২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার নলুয়া গ্রামের রুহুল আমিনকে স্থানীয় ল্যাংড়ার দোকানের পাশে একই গ্রামের বেশ কয়েকজন ব্যক্তি পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পরদিন নিহতের স্ত্রী মিনারা আক্তার বাদী হয়ে পাঁচজনের নামে কবিরহাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় কবিরহাট থানা পুলিশ মামলার তদন্ত শেষে অভিযুক্ত পাঁচ আসামির নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আদালত দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে এ মামলায় রুহুল আমিনকে হত্যার ঘটনায় বাবা-ছেলেসহ পাঁজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আবুল হাসেম ও তার ছেলে নূরনবী, আব্দুল হক ও তার ছেলে মো. রাসেল এবং আবদুর রহিম। একই আদেশে আদালত আসামিদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আবুল হাসেম ছাড়া বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছেন।
র্যাবের এ কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার রাসেল জানান, এ ঘটনা পর থেকে তিনি রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিজের নাম পরিবর্তন করে প্রথমে ঢাকায় ট্রাকের হেলপার ও পরে দেশের বিভিন্ন স্থানে মিনিট্রাক চালক হিসেবে আত্মগোপনে থাকতেন। গ্রেপ্তার আসামি রাসেল এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এছাড়া তাকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে।
গ্রেপ্তার আসামির নামে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০২৩
এসজেএ/আরবি