রংপুর: রংপুরের গঙ্গাচড়ায় এক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ কৃষি প্রণোদনার ধানবীজ ও রাসায়নিক সার উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে।
শুক্রবার (৭ এপ্রিল) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন গঙ্গাচড়া মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মমতাজুল হক।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) রাতে গঙ্গাচড়া সদর ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেনের বাড়ি অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় তার একটি ঘর থেকে খড় দিয়ে ঢেকে রাখা অবস্থায় ১৫৩ বস্তা উফশী জাতের ধানবীজ ও এক বস্তা পাটবীজ উদ্ধার করা হয়। তবে অভিযানের খবরে আলমগীর মিয়াসহ বাড়ির লোকজন পালিয়ে যান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গঙ্গাচড়া উপজেলা পরিষদের সামনে দিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার গুদাম থেকে দুটি ভ্যান যোগে ১২ বস্তা সার ও ১৪ বস্তা ধানবীজ বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। বীজ ও সার বহনকারী ভ্যান দুটি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমিনের চোখে পড়ে। বিষয়টি সন্দেহ হলে তিনি ভ্যান দুটি আটক করেন এবং চালকদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তার প্রশ্নের সদুত্তোর না পাওয়ায় তিনি ভ্যানচালকদের ইউএনওর কার্যালয়ে নিয়ে যান।
এ সময় কৃষি অফিস থেকে এই সার ও ধানবীজ কৃষক নয়, ব্যবসায়ী আলমগীর নেওয়ার জন্য পাঠিয়েছেন বলে ভ্যানচালক মিঠু মিয়া ও শরিফুল ইসলাম জানান।
পরে অভিযান চালিয়ে বাড়ি ও ভ্যান থেকে মোট ১৬৭ বস্তা উফশী জাতের ধান (প্রতি বস্তা ১০ কেজি), এক বস্তা পাটবীজ (কেজির পরিমাণ পাওয়া যায়নি) ও ১২ বস্তা (প্রতি বস্তায় ৫০ কেজি) টিএসপি ও এমওপি সার উদ্ধার করে পুলিশ । ধান ও পাটবীজের গায়ে লেখা ছিল ‘বিক্রয়ের জন্য নহে’।
এ ঘটনায় ওই ব্যবসায়ীর নামে থানায় মামলা করেছেন উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মারুফা ইফতেখার সিদ্দিকার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
গঙ্গাচড়া মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মমতাজুল হক বলেন, ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে সরকারি প্রণোদনার বীজ ও সার উদ্ধারের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদ তামান্না বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০২৩
এএটি