ঢাকা: জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ জাপানি ক্রেতাদের বাংলাদেশের তৈরি উন্নতমানের পণ্য আমদানি করার জন্য অনুরোধ করেছেন।
জাপানে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এই অনুরোধ করেন।
শনিবার (৮ এপ্রিল) টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, টোকিওর ফ্যাশন ওয়ার্ল্ডে বাংলাদেশের পরিবেশবান্ধব কারখানা এবং জাপানের বাজারে বাংলাদেশে তৈরি পণ্যের সম্ভবনা নিয়ে এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বাংলাদেশি বিভিন্ন কোম্পানি তাদের উৎপাদিত উন্নতমানের দ্রব্যসামগ্রী নিয়ে জাপানের বিভিন্ন মেলা ও প্রদর্শনীতে নিয়মিত অংশগ্রহণ করছে। এই অংশগ্রহণ দেশটিতে বাজার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ফ্যাশন ওয়ার্ল্ড জাপান-বাংলাদেশ বাণিজ্য সম্পর্ক আরও গভীর করতে সহায়তা করবে।
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন দেশটির অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের পরিচালক কাতসুহিকু মুরাইয়ামা, ও মারুহিসা কোম্পানির প্রেসিডেন্ট মাশাহিরো হিরাইশি এবং জাপান টেক্সটাইল ইম্পোরটারস অ্যাসোসিয়েশনন এর সিনিয়র গবেষক ইওশাআকি কামিইয়ামা। তাঁরা বাংলাদেশে বিনিয়োগের উপযুক্ত পরিবেশ ও বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধার কথা সবার কাছে তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার (কমার্স) ড. আরিফুল হক বাংলাদেশের পরিবেশ বান্ধব কারখানা এবং জাপানের বাজারে বাংলাদেশে তৈরি পণ্যের সম্ভবনা এবং দূতাবাস কিভাবে জাপানি বিনিয়োগকারীদের সহায়তা করে তা উপস্থাপনা করেন।
বাংলাদেশ দূতাবাস এবং আরএক্স জাপান লিমিটেডের উদ্যোগে আয়োজিত এ সেমিনারে সহযোগিতা করে জাপান এক্সটারনাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেট্রো), ইউনাইটেড ন্যাশনস ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইউনিডো), জাপান ও জাপান টেক্সটাইল ইম্পোরটারস অ্যাসোসিয়েশন। অনেক জাপানি ক্রেতা প্রতিষ্ঠান এ সেমিনারে যোগদান করে।
টোকিও বিগ সাইটে অনুষ্ঠিত ‘ফ্যাশন ওয়ার্ল্ড টোকিও-২০২৩’ মেলায় এবার বাংলাদেশ থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর মাধ্যমে প্রায় ১৭টি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে। রাষ্ট্রদূত মেলায় বাংলাদেশের স্টলগুলো পরিদর্শন ও অংশগ্রহণকারী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আয়োজন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন। বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে বাংলাদেশের পোশাক ও চামড়া শিল্পপ্রতিষ্ঠান তাদের আধুনিক, রুচিসম্মত ও উন্নতমানের দ্রব্যাদির প্রদর্শন করছে।
অংশগ্রহণকারী ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, এ আয়োজন জাপানিসহ অন্য দেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পরিচয়, মতবিনিময় ও অধিকসংখ্যক ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সাহায্য করবে। বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা মনে করেন, মেলাটি দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে যোগাযোগের অন্যতম প্ল্যাটফর্ম হিসেবে রূপ নেবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০২৩
টিআর/এএটি