ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

‘মসজিদুল আকসা অবরোধকারীরা মানবতা-বিদ্বেষী’

ডিপ্লোম্যাটিক  করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২৩
‘মসজিদুল আকসা অবরোধকারীরা মানবতা-বিদ্বেষী’

ঢাকা: জাতীয় সংসদের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, জাতীয় অধিকার রক্ষার লড়াইয়ে যারা জড়িত, এমন প্রত্যেক জাতির জন্য একটি মাইলফলক হলো আল-কুদস দিবস। আল-কুদসের সাথে শুধু ধর্মীয় অনুভূতি নয়, জড়িত আছে ন্যায় ও অধিকারের প্রশ্ন।

মসজিদুল আকসাসহ পবিত্র ভূমিকে যারা অবরুদ্ধ করে রেখেছে, তারা শুধু ইসলামবিদ্বেষী নয়, তারা মানবতা-বিদ্বেষী।

শনিবার (১৫ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক আল-কুদস দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বিএমএ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

রাশেদ খান মেনন বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু ফিলিস্তিনকে শুধু স্বীকৃতিই দেননি, বরং সব সময় মজলুম ফিলিস্তিনি জনতার পাশে থাকার যে দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার তা আজও অনুসরণ করে চলেছেন।

আল-কুদস কমিটি বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোশি ও সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার এম সাখাওয়াত হোসেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান ও আল-কুদস কমিটি বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ড. শাহ কাওসার মুস্তাফা আবুলউলায়ীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব ড. সৈয়দ মুহাম্মদ এমদাদ উদ্দিন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ. কে. এম বদরুদ্দোজা।

অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা বলেন, ফিলিস্তিন সংকট কেবল কেবল ওই এলাকার জনগণের সংকট নয়। বরং এটি সমগ্র বিশ্বের মুসলমানদের সংকট। কারণ ফিলিস্তিন মুসলমানদের পূণ্যভূমি। এখানেই রয়েছে মুসলমানদের প্রথম কিবলা মসজিদুল আকসা। প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর পবিত্র মেরাজ শুরু হয়েছিল এখান থেকেই। ইসরাইল ফিলিস্তিন ইস্যুকে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করতে চায়। এ কারণেই ইরানের ইসলামি বিপ্লবের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম খোমেইনি (রা.) এটিকে ইসলামী বিশ্বের সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করে মসজিদুল আকসাসহ সমগ্র ফিলিস্তিনের মুক্তির লক্ষ্যে রমজান মাসের শেষ শুক্রবার ‘বিশ্ব কুদস দিবস’ ঘোষণা করেন। এরপর থেকে মুসলিম বিশ্ব এই দিনকে কুদস দিবস হিসেবে পালন করতে থাকে। এই দিনে বিশ্বজুড়ে জনগণের এই ঐক্যবদ্ধ কর্মসূচি ফিলিস্তিনিদের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে জাগ্রত রাখার এবং ইসরাইলের প্রতি বিশ্ব মুসলমানের ঘৃণা প্রকাশের মাধ্যমে পরিণত হয়েছে।

বক্তারা বলেন, মজলুম ফিলিস্তিনি জাতির ওপর জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসা ইহুদি শাসন, শোষণ, নিপীড়ন ও তাদের নৃশংস হত্যাযজ্ঞের অবসান ঘটানো এবং বায়তুল মোকাদ্দাসকে রাজধানী করে ফিলিস্তিনি জাতির নিজস্ব রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাসহ মজলুমের ওপর আধিপত্যকামী শক্তিগুলোর আগ্রাসন মোকাবেলায় বিশ্বের সব মুসলমানকে ঐক্যবদ্ধ করতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে এ দিবস।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২৩
টিআর/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।