ঢাকা: রাজধানীর ওয়ারী হানিফ ফ্লাইওভারের নিচে সুইপার কলোনিতে আগুনের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে স্বামী ও স্ত্রীর পর মারা গেলেন ছেলের মা কান্তা রানী (৬০)।
রোববার (১৬ এপ্রিল) এই তথ্য নিশ্চিত করেন ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া।
শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবির পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এছাড়া বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব জানান, কান্তা রানীর শরীরে ১৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এছাড়া তিনি সেপটিসেমিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।
গত ২৭ মার্চ দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে এই আগুনের ঘটনা ঘটে। ভোর ৫টার দিকে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা দগ্ধ সাত জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। দগ্ধরা হলেন রাজু বসাক (৩৬), তার স্ত্রী শান্তি রানী দাস (২৭), মা কান্তা রানী (৬০), দুই ছেলে কৃষ্ণ দাস (৭) ও লক্ষণ দাস (৩)। এছাড়া আগুনে আরও দগ্ধ হয়েছিলেন প্রতিবেশী গীতা রানী দে (৬৫) ও আফজাল (৫২)।
এরআগে, চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩১ মার্চ মারা যান কান্তা রানীর ছেলে রাজু বসাক (৩৬)। আর ২ এপ্রিল মারা যান তার ছেলের বউ শান্তি রানি দাস (২৭)। এখনও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন রাজুর দুই ছেলে কৃষ্ণ ও লক্ষণ দাস।
রাজুর ভাতিজা হেরাম শেট্টি শিবা জানান, তারা সুইপারের কাজ করেন। থাকেন ওয়ারী জয়কালী মন্দির সংলগ্ন হানিফ ফ্লাইওভার ব্রিজের নিজে গড়ে তোলা কলোনিতে। ওইদিন ভোরে সেখানে আগুন লাগার পর তারা দগ্ধ হন।
তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনার কিছুদিন আগে কলোনির ঘরগুলোর মাটির নিচে ওয়াসা তাদের লাইন মেরামতের কাজ করে। এরপর থেকে রাজুর ঘরের নিচ থেকে গ্যাস বের হতো। গ্যাসের প্রচুর গন্ধ বের হতো। সেই গ্যাস থেকেই আগুন লেগেছে বলে ধারণা তার।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২৩
এজেডএস/এসআইএ