ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

স্বপ্ন দেখাচ্ছে সোনালি আঁশ: বাণিজ্যমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২৩
স্বপ্ন দেখাচ্ছে সোনালি আঁশ: বাণিজ্যমন্ত্রী

ঢাকা: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে সোনালি আঁশ তথা পাট আমাদের এখন সোনালি স্বপ্ন দেখাচ্ছে।

রোববার (১৬ এপ্রিল) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে 'জুট প্রোডাক্টস বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল'-জেপিবিপিসি’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও বিজনেস কমিশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং সেক্টর অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, অভ্যন্তরীণ বাজার ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন করে ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে পাটজাত পণ্য রপ্তানি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাটজাত পণ্যকে ২০২৩ সালের 'বর্ষপণ্য' হিসেবে ঘোষণা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী এ সম্ভাবনাময় খাতের উন্নয়নকে আরও বেগবান করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ‘জুট প্রোডাক্টস বিজনেস প্রোমোশন কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে।

পাট ও পাটজাত পণ্য উৎপাদনে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করছে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে পাটের উৎপাদন ও পাট পণ্য ব্যবহার বেড়েছে। অনেকে পাট ও পাট পণ্য উৎপাদনে এবং রপ্তানি করে নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি হাইকমিশনার/রাষ্ট্রদূতকে পাটজাত পণ্য প্রদর্শন এবং বাজার সম্প্রসারণে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেছেন। যার ফলে পাট নতুন করে স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছে।

দেশে পাট শিল্পের পুনরুজ্জীবন এবং আধুনিকায়নের ধারা বেগবান করার পাশাপাশি পাটজাত বহুমুখী পণ্যকে আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি বৃদ্ধিতে জুট প্রোডাক্টস বিজনেস প্রোমোশন কাউন্সিল (জেপিবিপিসি) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে জানিয়ে তিনি বলেন রপ্তানি সম্ভাবনাময় খাতসমূহের উন্নয়নে বিজনেস প্রোমোশন কাউন্সিল-বিপিসি ইতোমধ্যে সাতটি খাত ভিত্তিক কাউন্সিল গঠন করে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

মন্ত্রী বলেন, পাট খাতের বৈশ্বিক রপ্তানি আয়ের ৭২ শতাংশ এখন বাংলাদেশের দখলে। এছাড়া দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে কেবল ব্যাগের চাহিদা দশ কোটি থেকে ৭০ কোটিতে উন্নীত হয়েছে এবং অন্যান্য পাট পণ্যের চাহিদা রয়েছে প্রায় হাজার কোটি টাকা। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরে পাট ও পাট পণ্য রপ্তানিতে প্রায় ১১৩ কোটি মার্কিন ডলার আয় হয়েছে বলেও জানান।

পলিথিন ব্যাগের বিকল্প হিসেবে পাটের ব্যাগের ব্যবহার বাড়ানোর জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, পাটের ব্যাগ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে থাকে। যদিও পলিথিন ব্যাগের তুলনায় পাটের ব্যগের দাম একটিু বেশি তবে পরিবেশবান্ধব।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬,২০২৩
জিসিজি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।