লক্ষ্মীপুর: নদীত ডেঞ্জার জোন চলাকালীন সময়ে ছোট নৌ-যান চলাচল নিষিদ্ধ থাকে। তবে লক্ষ্মীপুরে মজুচৌধুরীর হাট থেকে স্পিডবোটে মেঘনা নদী হয়ে ভোলায় যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত মজুচৌধুরীর হাট লঞ্চঘাট থেকে কয়েকেটি স্পিডবোটে করে ভোলার উদ্দেশ্যে যাত্রী পারাপার হতে দেখা গেছে। এ সময় সেখানে পুলিশ সদস্যদের মধ্যে দুইজনকে স্পিডবোট ঘাটে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। তাদের উপস্থিতিতেই যাত্রীদেরকে স্পিডবোটে উঠতে দেখা গেছে। পুলিশ সদস্যদের একজন ছিলেন পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) নাম আবুল হোসেন।
জানা গেছে, ১৫ মার্চ থেকে ১৫ অক্টোবর নদী এবং সাগর উত্তাল থাকায় নদীকে ডেঞ্জার জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এ সময়ে স্পিডবোট, ট্রলারসহ ছোট আকারের সকল যাত্রীবাহী নৌ-যান চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীর হাট থেকে স্পিডবোট বা ট্রলারযোগে যাত্রী পারাপার করছে একটি প্রভাবশালী চক্র।
পুলিশকে ম্যানেজ করেই তিনি নির্বিঘ্নে অবৈধভাবে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। যাত্রীপ্রতি আদায় করা হচ্ছে ৬০০ টাকা করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মজুচৌধুরীর হাট নৌ-পুলিশের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. আবু তাহের মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, ঘাট এবং নদীর নিরাপত্তায় নৌ-পুলিশের সদস্যরা নিয়োজিত আছেন। স্পিডবোট চলাচলের বিষয়টি দেখার দায়িত্ব বিআইডব্লিউটিএ এর। তারা বা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান পরিচালনা করলে আমরা তাদের সহযোগিতা করি।
তিনি আরও বলেন, আমরা ট্রলার এবং স্পিডবোট চালকদের ডেকে সতর্ক করেছি। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তারা যাতে যাত্রী পারাপার না করে। গত ১১ এপ্রিল ট্রলারযোগে যাত্রী পারাপার করায় সোহাগ নামে একজনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২৩
এফআর