খুলনা: খুলনায় ইজিবাইক চালক মো. রাফি ইসলাম হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোমবার (১৭ এপ্রিল) মহানগরীর জিরোপয়েন্ট এলাকা থেকে সাব্বির, সজীব, রহিম ও স্বপনকে গ্রেফতার করা হয়।
চারজনের স্বীকারোক্তি মোতাবেক নগরীর ময়লাপোতা ডালমিল এলাকা থেকে আরিফ শেখকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের কাছ থেকে একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়।
লবণচরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: এনামুল হক বাংলানিউজকে বলেন, গ্রেপ্তার প্রথম চারজন ইজিবাইকে করে লবণচরা এলাকার বিভিন্নস্থানে ঘুরতে থাকেন। এটা দেখে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তাদের সন্দেহ হয়। তখন তাদের আটক করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের খবর দিলে তাদের থানায় নেওয়া হয়। এ সময়ে তাদের কাছ থেকে একটি ছুরিও উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সম্প্রতিক সময়ে লবণচরা এলাকায় ইজিবাইক চালক রাফি হত্যাকাণ্ডে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন। হত্যাকাণ্ডের পর রাফির ইজিবাইকটি তার খুলে পার্টস বটিয়াঘাটা এলাকায় বিক্রি করে দেয়। ইজিবাইকের ব্যাটারিও উদ্ধার করা হয়েছে। ব্যাটারি ক্রেতা আরিফ শেখকে নগরীর ডালমিল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
খুলনা মেট্রো উপ-পুলিশ কমিশনার দক্ষিণ তাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, গ্রেপ্তার পাঁচজনই ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য। রাত হলেই তারা ইজিবাইক ছিনতাইয়ের জন্য রাস্তায় বের হন। সোমবার রাতে তারা ইজিবাইক ছিনতাইয়ের জন্য ইজিবাইকে চড়ে ঘুরছিলেন। ফাঁকা স্থান পেয়ে চালককে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনিয়ে নিতেন। কিন্তু আমাদের পুলিশের তৎপরতার কারণে তাদের মিশন সফল হয়নি। পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নেওয়ার পর ইজিবাইক ছিনতাই ও রাফি হত্যার জট খোলে। রাফি হত্যাকাণ্ডটি একটি ক্লু লেস। হত্যার রহস্য উন্মোচনের জন্য পুলিশ যখন আপ্রাণ চেষ্টা করছিল ঠিক তখনই তারা পুলিশের কাছে ধরা পড়ে।
তিনি বলেন, এরা মূলত ব্যাটারির জন্য চালককে হত্যা করেন। পরে তা বিভিন্নস্থানে বিক্রি করে দেন। ইজিবাইকের ওপরের অংশ বটিয়াঘাটা ও ব্যাটারি নগরীর ডালমিল মোড় এলাকায় জনৈক আরিফ শেখের কাছে বিক্রি করে। আরিফকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২৩
এমআরএম/আরআইএ