জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, (জবি): ঈদুল ফিতর পালনে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে রাজধানীতে বসবাসরতরা। মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) বাস, ট্রেন ও অন্যান্য বাহনে বাড়ি ফিরছেন তারা।
তবে, সদরঘাট সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বুধবার (১৯ এপ্রিল) থেকে যাত্রীদের চাপ বাড়তে পারে। তাদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে পুলিশ, র্যাব, আনসার ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যারা। মঙ্গলবারও তাদের দায়িত্ব পালনে দেখা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার লঞ্চে যাত্রী তুলনামূলক কমে গেছে। আগে ঈদের সময় লঞ্চে উঠতে রীতিমতো লড়াই করতে হতো। অতিরিক্ত যাত্রী বহনের কারণে জায়গা পাওয়াও কঠিন ছিল। এবার তেমনটি হচ্ছে না। যাত্রী টানতে ভাড়ায় ছাড়ও দেওয়া হচ্ছে। ফলে স্বস্তিতে যেতে পারছেন যাত্রীরা।
সন্ধ্যায় সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ভোলা, হাতিয়া, চর মুন্তাজ, চাঁদপুর, বরগুনাগামী লঞ্চগুলোর সামনে যাত্রীদের ভিড়। তবে আগের মতো নয়। যাত্রীরা নির্বিঘ্নে লঞ্চে উঠছেন। সকাল থেকেই অনেক যাত্রী এসেছিলেন অগ্রিম টিকিট বুকিং দিতে। কেউ এসেছিলেন পরিবারের সদস্যদের লঞ্চে তুলে দিতে। বিকেল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই যাত্রীদের উপস্থিতি বৃদ্ধি পায়।
সদরঘাট থেকে ভোলা যাবেন তানভীর। কথা হলে তিনি বলেন, লঞ্চে আগের মতো ভিড় নেই-অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ নেই। আগে এ সময় টিকিট পাওয়া যেত না। আজ ঘাটে এসেই টিকিটি পেয়েছি। ভোগান্তি হচ্ছে না। খুব ভালো লাগছে।
ঢাকা-বরিশাল রুটে চলাচলকারী সুন্দরবন-১৬ লঞ্চের সুপারভাইজার বাবুল মোল্লাহ বলেন, আগের মতো যাত্রীর চাপ নেই। ডেক-কেবিন মোটামুটি ভর্তি হচ্ছে। আগামীকাল থেকে যাত্রী বাড়তে পারে। তখন লঞ্চের সংখ্যাও বাড়ানো হবে।
সদরঘাট নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুর রহমান খান বলেন, আজ যাত্রীদের চাপ কমই মনে হচ্ছে। আগামীকাল থেকে হয়তো যাত্রীসংখ্যা বাড়বে। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ প্রস্তুত। সঙ্গে র্যাব, আনসার, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যারাও আছেন। আমরা সবাই কাজ করছি।
লঞ্চ মালিক সমিতির মহাসচিব শহিদুল হক ভূঁইয়া বলেন, যাত্রীর চাপ এতটাই কমেছে মাত্র দুটি লঞ্চে যাত্রী হয়েছে। বরিশালের তিনটা লঞ্চ খালি পড়ে আছে। আগামীকাল পোশাক শ্রমিকদের ছুটি হবে, বোনাস পাবে তখন যাত্রীর একটু চাপ হতে পারে।
নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক কবির হোসেন বলেন, ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আমরা মাইক দিয়ে সবাইকে সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা করছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আছে, আমাদের স্টাফরাও আছে। তাদের ঈদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে যাতে করে এখানে সব দেখাশোনা করতে পারে। এবং বিভিন্ন রুটে এ বছর ৪৬টি লঞ্চ চলাচলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাত্রীর চাহিদা বাড়লে বিশেষ ট্রিপের প্রস্তুতিও আছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২৩
এমজে