মানিকগঞ্জ: দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদুল ফিতর। সব অঞ্চলের মতো দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের ঘরমুখো মানুষও প্রিয়জনের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে ছুটছে।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়াঘাট এলাকায় কয়েক শতাধিক মোটরসাইকেল আরোহীদের পদ্মা নদী পার হওয়ার এমন দৃশ্য দেখা যায়।
পাটুরিয়াঘাট পয়েন্টে যাত্রীবাহী পরিবহনের চাপ না থাকায় যানবাহনগুলো সরাসরি ফেরিতে উঠছে। তবে শতাধিক ছোট গাড়ি (প্রাইভেটকার) নৌপথ পারের অপেক্ষায় আছে। অন্যদিকে, ফেরিগুলোতে যানবাহন লোড করতে গেলে মোটরসাইকেলেই ভরে যাচ্ছে ফেরি।
ঈদে ঘরমুখো মানুষ এবং যানবাহন পারাপারের জন্য বর্তমানে ছোট-বড় মিলিয়ে ১৭টি ফেরি চালু আছে। তবে যানবাহনের চাপ বাড়লে পর্যায়ক্রমে আরও ফেরি দিয়ে যানবাহন ও মানুষ পারাপার করা হবে।
ঢাকার কল্যাণপুর থেকে আসা নবীন নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী বলেন, সেহেরি খেয়ে রওনা হয়েছি বাড়ি যাওয়ার জন্য, অনেক ভালো লাগছে বাবা-মায়ের সঙ্গে ঈদ করবো এই কথা ভেবে। রাস্তায় তেমন যানবাহনের চাপ নেই, রাস্তা-ঘাটও আগের চেয়ে ভালো যে কারণে তেমন একটা সমস্যা হয়নি।
ফরিদপুরগামী আনোয়ার হোসেন নামের আরও একজন বলেন, আমি এনজিওতে চাকরি করি গাজীপুর জেলায়। ভোরে রওনা হয়েছি তবে রাস্তায় যানবাহনের চাপ না থাকায় স্বস্তিতেই পাটুরিয়াঘাট এলাকায় এসে পৌঁছেছি। গাড়ি ভাড়া একটু বেশি নিচ্ছে তবে সব মিলিয়ে ভালো লেগেছে এবারের ঈদযাত্রা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) পাটুরিয়া ফেরিঘাট পয়েন্টের বাণিজ্য বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক মহিউদ্দিন রাসেল বাংলানিউজকে বলেন, যানবাহনের বাড়তি যে চাপ সেটা এখনো পড়েনি পাটুরিয়াঘাট এলাকায়। ভোর থেকে এখন পর্যন্ত যাত্রীবাহী পরিবহনের কোনো সারি দেখা যায়নি তবে ছোট গাড়ি ও মোটরসাইকেলের একটা চাপ রয়েছে ঘাট পয়েন্টে। ঈদে ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহন পারাপারের জন্য ১৭টি ফেরি চলাচল করছে এবং বাকি ৩টি ফেরি যানবাহনের চাপ না থাকায় অলস সময় পার করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০২৩
এসআরএস