ঢাকা: পবিত্র ঈদুল ফিতরের বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। এরই মধ্যে সরকারি ছুটি শুরু হয়ে গেছে।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) মহাখালী বাস টার্মিনালে সরেজমিনে ঘুরে যাত্রী কম থাকার এমন চিত্র দেখা গেছে।
কিশোরগঞ্জগামী জলসিঁড়ি এক্সপ্রেস পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার মো. মিলন শেখ বাংলানিউজকে বলেন, শুধুমাত্র গত রাতেই যাত্রীদের কিছুটা চাপ ছিল মহাখালী বাস টার্মিনালে। এছাড়া আজকে সকাল ৪টায় কাউন্টার খুলে বেলা ১১ টা পর্যন্ত মাত্র ১৯টা বাস ছাড়তে পেরেছি। তবে যাত্রীর চাপ থাকলে এতক্ষণে ৫০টির বেশি বাস টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যেত। আগে যেখানে প্রতি ৫ থেকে ১০ মিনিট পর পর বাস ছাড়া হত। এখন সেখানে আধ ঘণ্টা, ৪০ মিনিট পর পর একটি বাস ছাড়তে হচ্ছে।
মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে বেলা ১১ টায় ঢাকা মেট্রো ব ১৫-৪৯৪০ সিরিয়ালের একটি বাসে করে ময়মনসিংহ যাচ্ছেন মো. জোহায়ের তানভীর রাসেল নামের এক যাত্রী। ৩২০ টাকায় ঢাকা থেকে ময়মনসিংহের টিকিট কাটেন তিনি। বাসা বাস কাউন্টারের পার্শ্ববর্তী এলাকায় হওয়ায় ২০ মিনিট আগেই ঘর থেকে রওনা হন। ভেবেছিলেন মহাখালী বাস টার্মিনালে যাত্রীদের প্রচণ্ড চাপ থাকবে। কিন্তু এসে দেখেন মহাখালী বাস টার্মিনাল অনেকটাই ফাঁকা। ফলে টিকিট পেতেও তেমন কোনো কষ্ট হয়নি তার।
ঈদ যাত্রায় কোনো ধরনের ভোগান্তি মনে করছেন কিনা জানতে চাইলে মো. জোহায়ের তানভীর রাসেল বাংলানিউজকে বলেন, কোনদিন ভাবিনি মহাখালী বাস টার্মিনাল এতটা ফাঁকা পাব এবং এত দ্রুত টিকিট পেয়ে যাব। গতকাল সবাই রাতভর ইবাদত বন্দেগি করে হয়তো বিশ্রাম নিচ্ছেন। তাই মহাখালী বাস টার্মিনালে সকালের দিকে ভিড় দেখছি না। এখন ভালোয় ভালোয় বাড়ি পৌঁছাতে পারলেই হয়।
এদিকে মহাখালী বাস টার্মিনাল পরিদর্শনে এসে বিআরটিএর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, ঈদযাত্রা যাতে স্বস্তিকর হয় তার জন্য আমরা কাজ করছি। প্রধানমন্ত্রীও ঈদ যাত্রাকে সাবলিল রাখার জন্য নিজে মনিটরিং করছেন। এছাড়াও বিআরটিএর ভিজিলেন্স টিম বাসকাউন্টারে কাজ করছে। সেই সঙ্গে স্পেশাল মোবাইল কোর্ট টিমও কাজ করছে। রাজধানীসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে কাজ করছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা।
বাংলাদেশ সময়: ১২১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০২৩
ইএসএস/এমএমজেড