ঢাকা: ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটারের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়ক (ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে) ‘ফাস্ট ট্র্যাক’ পদ্ধতিতে টোল আদায় শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা থেকে এই মহাসড়কের ধলেশ্বরী সেতু এবং ভাঙ্গা টোল প্লাজার একটি করে লেনে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে টোল নেওয়া হচ্ছে।
সড়ক পরিবহন ও জনপথ অধিদপ্তর জানিয়েছে, মোবাইল ব্যাংকিং সেবা উপায়ের মাধ্যমে টোল কেটে রাখা হচ্ছে। বিআরটিএ থেকে নিবন্ধিত সব যানবাহনের তথ্য ফাস্ট ট্র্যাকের সিস্টেমে রাখা আছে।
ফাস্ট ট্র্যাকের জন্য নির্ধারিত লেনে সেন্সর বসানো আছে। একটি গাড়ি যখন যায়, তখন সেন্সর গাড়ির ডিজিটাল নম্বর প্লেট অনুযায়ী সেটি কী ধরনের যানবাহন, তা শনাক্ত করে। সে অনুযায়ী নির্ধারিত টোলের টাকা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে কেটে নেওয়া হয়। উপায় অ্যাপের মাধ্যমে ১০ শতাংশ ছাড়ে এই সুবিধা নিয়ে দ্রুত টোল প্লাজা অতিক্রম করা যাচ্ছে।
অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, আরএফআইডি কার্ড গাড়ির উইনশিল্ডে লাগানো থাকলে তাও শনাক্ত করে টোল কেটে নেওয়া হচ্ছে। এজন্য মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থা উপায়ে পর্যাপ্ত টাকা থাকতে হবে। মোবাইল অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা না থাকলে টোল প্লাজার ব্যারিয়ার উঠবে না।
দেশে মেঘনা ও মেঘনা গোমতী সেতুতে এ পদ্ধতিতে টোল আদায়ে আলাদা লেন রয়েছে। এখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়ক (ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে) তা চালু হলো।
ইলেক্ট্রনিক টোল কালেকশন (ইটিসি) বা স্বয়ংক্রিয় টোল সংগ্রহ ব্যবস্থা এমন একটি ডিজিটাল প্রযুক্তি যা বাধাহীনভাবে যানবাহনের টোল প্লাজা অতিক্রম নিশ্চিত করে। এই প্রযুক্তির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সুবিধা হলো- এটি টোল প্লাজার কাছাকাছি যানজট কমিয়ে দেয়।
গত বছরের ১১ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মহাসড়ক উদ্বোধন করেন। এই মহাসড়ক পদ্মা সেতু হয়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২২টি জেলার সঙ্গে সারা দেশের যোগাযোগ স্থাপন করেছে।
সার্ভিস লেনসহ ছয় লেনের এই সড়ক নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১১ হাজার কোটি টাকা। এই মহাসড়কে ৪৪টি কালভার্ট, ১৯টি আন্ডারপাস, চারটি বড় সেতু, ২৫টি ছোট সেতু, পাঁচটি ফ্লাইওভার, দুটি ইন্টার চেইন, চারটি রেলওয়ে ওভারপাস রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০২৩
এনবি/আরএইচ