ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় জমজমাট বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্স

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০২৩
শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় জমজমাট বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্স বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্স। ছবি: দেলোয়ার হোসেন বাদল

ঢাকা: দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদ, বাকি মাত্র দুই/তিনদিন। সরকারি-বেসরকারি অফিসে ছুটির আমেজ।

মানুষ ছুটছে গ্রামে। ভিড় বাড়ছে গ্রামমুখী বাস, ট্রেন, লঞ্চসহ সব ধরনের যানবাহনে।  

তারপরও ভিড় কমেনি রাজধানীর বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সে। শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় জমে উঠেছে এ মার্কেট। এরইমধ্যে অনেকেই ঢাকা ছেড়ে যাওয়ায় এখন ক্রেতারা বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করছেন। যারা মূল কেনাকাটা আগেই সেরেছেন তাদের চলছে প্রসাধনীসহ আনুষঙ্গিক কেনাকাটা। তাই বিক্রি বেশি হওয়ায় খুশি ব্যবসায়ীরা।

বুধবার (১৯ এপ্রিল) বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা গেছে, তপ্ত আবহাওয়া মাথায় নিয়ে ঈদ কেনাকাটার শেষ মুহূর্তেও ভিড় নগরীর এই জনপ্রিয় মার্কেটে।  

শেষ সময়ে নারীদের কেনাকাটার তালিকায় ঈদের আগ দিয়ে প্রাধান্য পাচ্ছে প্রসাধনী সামগ্রী, গহনা এবং জুতা।  

বিপণীবিতান ও বুটিক হাউসগুলোতে ভিড় বেশি। দোকানিরা বলছেন, ক্রেতা উপস্থিতি সন্তোষজনক। ঈদ ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়ের সঙ্গে বিক্রিও ভালো হবে বলে আশাবাদী তারা।

এ বিষয়ে একজন নারী ক্রেতা বলেন, আমার জামা কাপড় কেনা শেষ। এখন কসমেটিকস কিনতে এসেছি। সেই সঙ্গে আজ মাকে কিছু কিনে দেওয়ার জন্য নিয়ে এসেছি এবং ভাইয়ের জন্য পাঞ্জাবি দেখছি।

সেই সঙ্গে পিছিয়ে নেই পুরুষ ক্রেতারাও। বেছে নিচ্ছেন পছন্দের পাঞ্জাবি, শার্ট কিংবা জুতা।  

ক্রেতারা বলেন, ছেলে মেয়ে নিয়ে এসেছি ঈদের কেনাকাটা করার জন্য। এবার বাজারে কাপড়ের কালেকশন ভালো। শাড়ি, জামা, কাপড়, পাঞ্জাবি, জুতা, গহনার দোকান থেকে প্রসাধনীর দোকান, টুপির দোকান থেকে জায়নামাজ, আতরের দোকান, বেল্টের দোকান থেকে ব্যাগের দোকান, চশমা, ঘড়ির দোকান; সর্বত্রই কেনাকাটা।  

সবাই এসে ভিড় জমিয়েছে শেষ মুহূর্তে তাদের পছন্দের পণ্যটি কিনে নিতে। ক্রেতার এই বাঁধভাঙা স্রোতে এতটুকু ফুসরৎ নেই বিক্রেতাদের। অধিক বিক্রি, অধিক লাভের হাঁসির ঝিলিক বিক্রেতাদের মুখের কোনায়।

এদিকে বিক্রেতারাও ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী নিত্যনতুন ডিজাইনের পোশাকে সাজিয়েছেন। তাই রমজানে ছুটির দিনের পাশাপাশি এই শেষ সময়ে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় চোখে পড়েছে মার্কেট। বাহারি কারুকাজ, হাতের নকশা, ব্লক, নানা রঙের কাপড়সহ বিভিন্ন রঙিন নতুন পোশাকে সেজেছে ফ্যাশন হাউসগুলো।  

এসেছে নতুন নতুন কারেকশনও। গরমকে প্রাধান্য দিয়ে ডিজাইনে আনা হয়েছে নতুনত্ব। আর বেশিরভাগ পোশাকই রাখা হয়েছে সুতির। গরমকে প্রাধান্য দিয়ে তৈরি করা এসব পোশাকের দামও রাখা হয়েছে ক্রেতা সাধ্যের মধ্যেই।

বসুন্ধরা সিটির নিপুণ, সৃষ্টি, সাদাকালো, দেশাল, রঙ বাংলাদেশ, কে-ক্রাফট, অঞ্জন্স, জ্যোতি, প্লাস পয়েন্টসহ বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসের শো-রুম ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। প্রতিটি শো-রুমেই এখন ক্রেতাদের ঘুরে ঘুরে পোশাক দেখার চিত্র দেখা যাচ্ছে। আবার পছন্দ হলে কিনছেনও।  

ঈদের বাজারে পোশাকের কালেকশন ও দামের বিষয়ে ক্রেতারা জানান, এখন বেশকিছু কালেকশন নতুন হয়েছে। এছাড়া কাপড়ের দামও ঠিক আছে, তেমন বেশি নয়। তাই পরিবারের সবার জন্য পোশাক কিনছেন তারা।

সাজ্জাদ রহমান নামে এক ক্রেতা বলেন, গরমের মধ্যেই উৎসবে যেন ব্যবহার করতে পারি, এমন বিষয়টা মাথায় রেখেই পোশাক খুঁজছি। আর পোশাকের পাশাপাশি প্রসাধনী সামগ্রীগুলোও নিতে হবে এখন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০২৩
এইচএমএস/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।