ভোলা: পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে রাজধানী থেকে ভোলায় ফিরে ভোগান্তিতে পড়ছেন মানুষ। যাত্রীদের প্রচণ্ড চাপ দেখা গেছে ভোলার ইলিশা ঘাটে।
অন্যদিকে অতিরিক্ত ভাড়া এবং অতিরিক্ত যাত্রী বহন করে চলার কারণে দুর্ঘটনার আশংকাও রয়েছে ।
সবমিলিয়ে রাজধানী থেকে লঞ্চ যোগে ভোলায় নেমে বাড়ি যেতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। ভোগান্তির পরেই নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পেরে খুশি অনেকেই।
যাত্রী আরিফ, সোহাগ ও সালাউদ্দিন বলেন, প্রতিটি লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করছে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ। আমাদের অনেক কষ্ট করে আসতে হয়েছে। ভাড়াও বেশি নিচ্ছে। তবুও বাধ্য হয়ে আমদের যেতে হচ্ছে।
এদিকে যাত্রীদের নিরাপত্তা এবং দুর্ঘটনা রোধে নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অভিযান চলতে দেখা গেছে।
ভোলা নৌ পুলিশের ইনচার্জ মো. আখতার হোসেন বলেন, যাত্রীদের নিরাপত্তায় আমরা নিয়োজিত রয়েছি। তবে এখন পর্যন্ত কোনো প্রকার অপ্রতিকর ঘটনার খবর পাইনি। যাত্রীরা নির্বিঘ্নে যাতায়াত করছেন।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী সুজা বলেন, লঞ্চগুলো যাতে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করতে না পারে, সেজন্য আমাদের অভিযান চলছে। একইসঙ্গে লঞ্চগুলো যাত্রীদের কাছ থেকে যাতে বেশি ভাড়া আদায় করতে না পারে। এ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, ইলিশা-ঢাকা ও ইলিশা-লক্ষ্মীপুর রুটটি দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সংযোগস্থল। ঈদ উপলক্ষে এ রুটে ৩টি সি ট্রাক ও ৮টি লঞ্চ চললেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
কাজের সন্ধানে দ্বীপজেলা ভোলার ৫ লাখের বেশি কর্মজীবি মানুষ রাজধানী ঢাকা ও চট্রগ্রামে বসবাস করেন। পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে তারা এখন ফিরছেন গ্রামের বাড়ি। যে কারণে এতো কমসংখ্যক নৌযান যাত্রীদের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২৩
এসএএইচ