খাগড়াছড়ি: পার্বত্য চট্টগ্রামের চারটিসহ মোট পাঁচটি অনাথালয়ের দায়িত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। পাহাড়ের কোনো প্রতিষ্ঠান যদি অনাথালয়ের দায়িত্ব নিতে চায়, তবে তা হস্তান্তর করে দেবে সংগঠনটি।
বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) রাতে এই বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য জামাল উদ্দিন। মূলত বিদ্যানন্দ নিয়ে অপপ্রচার বন্ধে তারা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান তিনি।
পাঁচ অনাথালয় হলো- কক্সবাজারের রামুর বৈদ্য পাড়ার সম্প্রীতি অনাথালয়, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির সোনাইছড়ির মেঘেরবাড়ী শিশুসদন, বান্দরবানের রুমার গালেংগার স্বপ্নডাঙ্গা অনাথালয়, বান্দরবানের আলিকদম পাপিয়া মেম্বার পাড়ার দ্বীপতরী অনাথালয়, খাগড়াছড়ির মাইসছড়ির করল্যাছড়ির মায়াকানন অনাথালয়। এসব অনাথালয় প্রায় ৪০০ অনাথ শিশু রয়েছে বলে জানা গেছে।
জামাল উদ্দিন বলেন, বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন পার্বত্য এলাকায় চারটি এবং কক্সবাজারে একটি অনাথালয় পরিচালনা করে আসছে। সংগঠন নিয়ে আমরা অপপ্রচার বন্ধে প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্ব ছেড়ে দিতে চাই।
তিনি বলেন, পাহাড়ের জমিগুলো শর্তসাপেক্ষে দান নেওয়া। অনাথালয় বন্ধ হলে এই পাহাড়ি জমি ফেরত চলে যাবে দাতার কাছে। এটিই শর্ত। অনাথালয় পরিচালনায় যারা আগ্রহী, তারা সবগুলো চুক্তিপত্র দেখতে পারবেন।
সব অবকাঠামোর মালিকানা আগ্রহী প্রতিষ্ঠান লাভ করবে জানিয়ে তিনি বলেন, মাঝ বছরে শিশুদের লেখাপড়ার যাতে ব্যাঘাত না ঘটে সেটিকে মাথায় রেখে আমরা চলতি শিক্ষাবর্ষের শিশুদের খরচ বহন করব। পরবর্তী কার্যক্রমে বিদ্যানন্দের নাম আর ব্যবহার হবে না।
বেশ কিছুদিন ধরে দেশে বিদ্যানন্দ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা চলছে। এর মধ্যেই সংগঠনটি নিজেদের পরিচালনায় থাকা অনাথালয়গুলোর দায়িত্ব ছাড়ার কথা বলল।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৫ ঘণ্টা, ২১ এপ্রিল, ২০২৩
এডি/আরএইচ