ঢাকা: নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে মানুষ। বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানী ছাড়া মানুষের সংখ্যাই বেশি।
সন্ধ্যার দিকে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকায় দেখা যায়, যাত্রীরা কাউন্টারের সামনে বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন। তাদের আনাগোনায় বেশ জমজমাট টার্মিনাল এলাকা।
চাকরিজীবী মো. রানা সোহাগ পরিবহনের যাত্রী। যাবেন যশোর। তিনি বলেন, দুপুর ২টায় এসে আজ বিকেলের টিকিট পাইনি। পেয়েছি রাত ৯টার সোহাগ বাসের। বাসের জন্য অপেক্ষা করছি।
সোহাগ পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার মহিউদ্দিন রাব্বি বলেন, রেগুলার যেসব বাস আমাদের ছিল, সেগুলোর টিকিট অনলাইনে বুকিং হয়েছে। বুধবার সোহাগ পরিবহনে অনেক চাপ ছিল। এ কারণে আজ (বৃহস্পতিবার) ঈদ স্পেশালের জন্য দুটি বাসের ব্যবস্থা করা হয়।
বাসের শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের তেমন কোনো শিডিউল বিপর্যয় ছিল না। তবে গাবতলী আসতে আমাদের একটি বাস আধা ঘণ্টা দেরি করে। জ্যামে পড়ার কারণে দেরি হয়। আজ দুপুর ২ টার পর থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত যাত্রীদের একটু ভিড় ছিল। ইফতারের পর তা আবার শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, সত্যি কথা বলতে আগের ঈদের মতো গাবতলীর কাউন্টারগুলোতে যাত্রীদের চাপ দেখা যায় না। পদ্মা সেতু হওয়ার পর থেকে গাবতলীতে যাত্রীদের চাপ কমে গেছে।
হানিফ পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার মো. বাহার বলেন, টুকটাক টিকিট বিক্রি হচ্ছে আমাদের। ঈদে আগের মতো টিকিট বিক্রির চাপ নেই। গাবতলীতে এখন টিকিট কাউন্টারগুলোতে উপচে পড়া ভিড় হয় না।
তিনি আরো বলেন, আমাদের কোন শিডিউল বিপর্যয় ছিল না। সঠিক সময়ে আমাদের বাস ছেড়ে গেছে। পদ্মা সেতু করায় গাবতলীতে যাত্রী কমেছে। বিগত দিনের ঈদের সময় হানিফ কাউন্টারের সামনে দাঁড়ানো যেত না, এমন ভিড় লেগে থাকতো। এখন কোনো ভিড় নেই কাউন্টারে।
খিলক্ষেত থেকে গাবতলী এসেছে রুহুল আমিন। এসেছেন বিকাল ৬ টায়। রাত ১০টায় ঈগল পরিবহনের বাসে যাওয়ার কথা সাতক্ষীরায়।
তিনি অভিযোগ করেন, সাতক্ষীরার ভাড়া বেশি নেওয়া হচ্ছে। অন্য সময় ভাড়া নেওয়া হয় ৬৫০-৭০০ টাকা। ঈদ উপলক্ষে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ১১শ টাকা, তাও আবার ফেরি পারাপার!
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২৩
এমএমআই/আরএইচ