বরিশাল: সৌদি আরবসহ মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে বরিশাল মহানগরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে কয়েক হাজার পরিবার।
শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে নগরের তাজকাঠী, জিয়াসড়ক, টিয়াখালী, হরিনাফুলিয়া, বরিশাল সদরের সাহেবেরহাট এলাকাসহ জেলার প্রায় অর্ধশত মসজিদে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বরিশাল নগরের বরিশাল নগরের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব হরিনাফুলিয়ার চৌধুরীবাড়ি শাহসুফী মমতাজিয়া জামে মসজিদে সকাল ৯টায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করার জন্য সকাল সাড়ে ৮টার পর থেকেই এ মসজিদে মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। বয়ান, খুদবা পাঠের মধ্য দিয়ে ঈদের নামাজ আদায় শেষে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা একে অপরকে জড়িয়ে কোলাকুলি করেন।
বরিশাল নগরের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব হরিনাফুলিয়ার চৌধুরীবাড়ি শাহসুফী মমতাজিয়া জামে মসজিদে ঈদের জামাত পরিচালনাকারী হাফেজ মাওলানা মো. আবু জাফর বলেন, আমরা সৌদি আরবসহ মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে ঐক্যবদ্ধভাবে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছি। রোজাদারের জন্য ঈদ হচ্ছে খুশির দিন, আনন্দের দিন।
এ মসজিদ কমিটির সভাপতি মমিন উদ্দিন বলেন, আমাদের প্রত্যাশা সারা পৃথিবীর মানুষ আমরা একই দিনে রোজা রাখবো, ঈদ করবো। আর এ নিয়ে দেশের ওলামাগান একসঙ্গে বসে সিদ্ধান্তে আসুক, সেই আশা করছি।
২৩ নম্বর ওয়ার্ডের তাজকাঠীর হাজিবাড়ির জাহাগিরিয়া শাহসুফী মমতাজিয়া জামে মসজিদে নামাজ আদায় শেষে মুসল্লি আমীর হোসেন জানান, নগরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ সাগরদী, তাজকাঠীসহ আশপাশের প্রায় ৫০০ পরিবার ঈদ পালন করছে।
মুলত শুক্রবার যারা ঈদ পালন করছেন তারা চট্টগ্রামের চন্দনাইশের জাহাগীরিয়া শাহ্সুফি মমতাজিয়া দরবার শরীফের অনুসারী। পৃথিবীর কোনো প্রান্তে চাঁদ দেখা গেলে তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে তারা রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহাসহ যাবতীয় ধর্মীয় আচার পালন করেন। আর যেহেতু গত বৃহস্পতিবার সৌদি আরবে চাঁদ দেখা গেছে, তাই সেখানকার সঙ্গে আজ আমরাও ঈদ পালন করছি।
এদিকে বাবুগঞ্জের খানপুরা, কেদারপুর, মাধবপাশাসহ ৫-৬টি গ্রামের এক হাজারের বেশি পরিবারে শুক্রবার ঈদ উদযাপন হচ্ছে। জেলার মুলাদী, হিজলা, মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলায় এবং সদর উপজেলার চন্দ্রমোহন, পতাং, লাহারহাট গ্রামের জাহাগিরি সুফী দরবারের প্রায় ২ হাজার অনুসারী রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২৩
এমএস/আরবি