ঢাকা, শুক্রবার, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সিডিউল বিপর্যয় নেই, স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন যাত্রীরা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২৩
সিডিউল বিপর্যয় নেই, স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন যাত্রীরা

ঢাকা: রাত পোহালেই ঈদুল ফিতর। ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে এখনো ঢাকা ছাড়ছেন রাজধানীবাসী।

পরিবার পরিজন নিয়ে শেষ মুহূর্তে রাজধানীর বাস কাউন্টারগুলোতে ভিড় করছেন ঘরমুখী মানুষ। তবে এ বছর বাসের সিডিউল বিপর্যয় না থাকায় ভোগান্তি ছাড়াই স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন যাত্রীরা।

শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর কল্যাণপুর, শ্যামলী ও গাবতলী ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

পরিবহন কর্তৃপক্ষরা জানিয়েছেন, কাউন্টারগুলোতে শেষ মুহূর্তে যাত্রীদের চাপ রয়েছে। কোনো ধরনের সিডিউল বিপর্যয় না থাকায় নির্ধারিত সময়েই দূরপাল্লার বাসগুলো ঢাকা ছেড়ে যাচ্ছে। যাত্রীদেরও কাউন্টারে এসে কোন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে না।

এ বিষয়ে এস পি গোল্ডেন লাইনের কাউন্টার মাস্টার জিসান বলেন, আমাদের গাড়ির কোনো সিডিউল বিপর্যয় হয়নি। বিকেল ৪টা এবং সন্ধ্যা ৭টায় সাতক্ষীরা উদ্দেশ্যে বাস ছেড়ে গেছে। প্রতিটি বাসে দুই-চারটি খালি সিটও রয়েছে। যাত্রীরা আসলে নির্ধারিত দামেই টিকিট নিয়ে যেতে পারছেন।

এক্ষেত্রে সাতক্ষীরা চেয়ার নন এসি ৮০০ টাকায় এবং এসি বাসের জন্য যাত্রীকে ১২০০ টাকা গুনতে হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

তেজগাঁওয়ের নাখালপাড়া থেকে কল্যাণপুরের হানিফ বাস কাউন্টারে নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা আগে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এসেছেন দিনাজপুরগামী যাত্রী মো. রাজু আহমেদ। নির্ধারিত সময়ে গাড়ি ছাড়ছে জেনে আনন্দে আত্মহারা।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, পরিবারের সবাইকে নিয়ে কাউন্টারে এক ঘণ্টা আগে এসেছি। যে বাস আমাদের নিয়ে যাবে সেটা স্ট্যান্ডবাই দেখে ভালো লাগছে। আশা করছি নির্ধারিত সময়েই গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবো।

তিনি আরও বলেন, এবারের ঈদ যাত্রায় গাবতলী পর্যন্ত আসতেও কোনো যানজটে পড়তে হয়নি।

অনলাইনে সব টিকিট বিক্রি হয়ে যাওয়ায় কাউন্টারে তেমন চাপ নেই। সিডিউল অনুসারে গাড়ি ছাড়তে পারায় যাত্রীদেরও কোনো ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে না বলে জানান কল্যাণপুরে হানিফ এন্টারপ্রাইজের কাউন্টার মাস্টার রাকিব।

তিনি বলেন, গাড়ির এক-দুইটি সিট খালি থাকায় কেউ আসলে নির্ধারিত মূল্যে টিকিট নিতে পারছেন। তবে এবার যাত্রীদের তেমন অপেক্ষা করতে হচ্ছে না।

পরিবহন কর্তৃপক্ষ ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহযোগিতায় যাত্রীরা সড়কে ভোগান্তি ছাড়াই রওনা দিচ্ছেন নিজ গন্তব্যে। তবে গতবছরের চেয়ে যাত্রীদের চাপ এ বছর বেশি বলে জানিয়েছেন বাস কাউন্টারগুলোর টিকিট বিক্রেতারা।

তারা বলেন, করোনার দুই বছর যাত্রী ছিল না। এ বছর যাত্রীদের চাপ অনেক বেশি।

সোহাগ পরিবহনের টিকিট বিক্রেতা রায়হান বাংলানিউজকে বলেন, অনলাইনে আমাদের টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। গাড়ি ছাড়ার ক্ষেত্রে যাত্রীদের কোনো ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে না। সিডিউল বিপর্যয় ছাড়াই যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়ি ফিরছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২৩
এসএমএকে/এমএইচএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।