কিশোরগঞ্জ: পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাতে অংশ নিতে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে মুসল্লিদের ঢল নেমেছে।
শনিবার (২২ এপ্রিল) সকাল ১০টায় ঐতিহাসিক এ ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
বড় ঈদগাহ, বড় জামাত। বেশি মুসল্লির সঙ্গে নামাজ আদায় করলে দোয়া কবুল হয়, এমন আকর্ষণে সকাল থেকেই শোলাকিয়ায় নামাজ আদায়ের জন্য কিশোরগঞ্জসহ ও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মুসল্লিরা অংশ নিচ্ছেন।
গাইবান্ধা থেকে জামাতে নামাজ আদায়ের জন্য শোলাকিয়ায় এসেছেন মাহবুবুর রহমান। তিনি বাংলানিউজকে জানান, ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহের নাম শুনে ঈদের নামাজ পড়তে এসেছি। বড় ঈদগাহে বেশি মুসল্লির সঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করব। নিশ্চয়ই আল্লাহ আমার দোয়া কবুল করবেন।
গাজীপুর থেকে ঈদ জামাতে নামাজ পড়তে এসেছেন হাজী আব্দুর রহমান। তার সঙ্গে এসেছেন আরও কয়েকজন মুসল্লি। তারা সবাই একসঙ্গে শোলাকিয়া ঈদগাহে ঈদের নামাজ শেষ করে বাড়ি ফিরে যাবেন।
হাজী আব্দুর রহমান ও তার সঙ্গে আসা মুসল্লিরা বাংলানিউজকে জানান, কয়েক লাখ মুসল্লির সঙ্গে আমরাও ঈদের নামাজ আদায় করব। আল্লাহ আমাদের দোয়া কবুল করবেন। এ বিশ্বাসেই এখানে ঈদের নামাজ পড়তে এসেছি।
শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে দায়িত্ব পালনরত কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাক সরকার বাংলানিউজকে জানান, মুসল্লিরা ঈদগাহ ময়দানে প্রবেশ করছেন। সার্বিক পরিস্থিতি ভালো। পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।
স্থানীয়দের মতে, ১৮২৮ সালে এই মাঠে ঈদের জামাতে সোয়া লাখ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করেন। সেই থেকে এ মাঠের নাম হয় ‘সোয়া লাখিয়া’, এরপর ধীরে ধীরে সেই ‘সোয়া লাখিয়া’ পরিচিত হয়ে ওঠে শোলাকিয়া নামে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২৩
আরএইচ