রাজশাহী: রাজশাহীতে হযরত শাহ মখদুম (রহ.) কেন্দ্রীয় ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে শনিবার (২২ এপ্রিল) সকাল ৮টায়।
নামাজে ইমামতি করেন মহানগরীর জামেয়া ইসলামিয়া শাহ মখদুম (রহ.) মাদরাসার অধ্যক্ষ মুফতি মোহাম্মদ শাহাদত আলী।
জামাতে অংশ নেন রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু ও মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফর উল্লাহ ও জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ।
এ ছাড়া রাজশাহীর বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা, ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ সাধারণ মুসল্লিরা কাতারবদ্ধ হয়ে ৬ তাকবিরের সঙ্গে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন।
নামাজ শেষে অব্যাহত তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি পেতে মহান আল্লাহ পাকের কাছে নিজেদের কৃতকর্মের জন্য পানাহ চেয়ে বৃষ্টিপাতের জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়। সবাই চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে আল্লাহর কাছে রহমতের বৃষ্টির জন্য দোয়া করেন। এ সময় মোনাজাতে দেশ ও জাতির কল্যাণ ও গোটা মুসলিম উম্মাহর সুখ-সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করা হয়।
কেন্দ্রীয় শাহ মখদুম ঈদগাহ ছাড়াও রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন এলাকার শতাধিক এবং ৯ উপজেলায় আরও প্রায় ৩৫০টি ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। তবে তাপপ্রবাহের কারণে আজ শনিবার সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যেই প্রায় সব এলাকায় ঈদের এই জামাতগুলো অনুষ্ঠিত হয়।
ঈদের জামাত শেষে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহান আল্লাহর দরবারে প্রয়াত পিতা-মাতা ও স্বজনদের রুহের মাগফেরাত কামনার জন্য বিভিন্ন গোরস্থানে যান এবং শিশু-সন্তানদের সাথে নিয়ে তাদের কবর জিয়ারত করেন।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) রফিকুল আলম জানান, ঈদের জামাতকে ঘিরে এবার কঠোর নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। কাউকে জায়নামাজ ছাড়া কোনো ব্যাগ, ভারি বস্তু বা অন্য কোনো দ্রব্যাদি বহন করতে দেওয়া হয়নি।
এ ছাড়া ঈদুল ফিতরের নামাজকে কেন্দ্র করে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছিল। সঙ্গে অন্য ঈদগাহগুলোর আশপাশের এলাকায় সকাল থেকেই পুলিশি টহল বাড়ানো হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত রাজশাহী নগরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই ঈদের নামাজ হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২৩
এসএস/আরএইচ