ঢাকা: ঈদের দ্বিতীয় দিন রোববার (২৩ এপ্রিল) রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোয় ছিল বিনোদনপ্রেমী মানুষের উপচে পড়া ভিড়। নগরবাসীর অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে ছুটে গেছেন বিভিন্ন বিনোদনকেন্দ্রে।
সরেজমিনে রাজধানীর বিজয় সরণিতে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার ও বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর ঘুরে দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা গেছে। তারা বলছেন, ঈদের ছুটি উপভোগ করার পাশাপাশি সন্তানদের বিনোদনের মাধ্যমে শিক্ষা দেওয়ার লক্ষ্যেই এ দুটি স্থানে এসেছেন তারা।
জানা গেছে, সকালে এই দুটি দর্শনীয় স্থানের গেট খুলে দেওয়ার পর থেকে দর্শনার্থীরা আসতে শুরু করেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দর্শনার্থী সংখ্যাও বাড়ে। বেশিরভাগ দর্শনার্থী শিশু, তাদের সঙ্গে দুয়েকজন করে অভিভাবকও এসেছেন। বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে দলবেঁধেও এসেছেন অনেকে। কেউ কেউ আবার ঈদের ছুটি উপলক্ষে একসঙ্গে সময় কাটানোর পরিকল্পনা করে পরিবার নিয়ে এসেছেন।
বাবাকে সঙ্গে নিয়ে নভোথিয়েটারে ঘুরতে আসে স্কুল পড়ুয়া তিন ভাই-বোন মো. রায়হান রাজ, মো. সাইদ ও আরিফা। স্কুলের বন্ধুদের মুখ থেকে নভোথিয়েটারের গল্প শুনে এখানে আসার আগ্রহ জন্মেছে বলে জানায় তারা।
নভোথিয়েটারের পর আর কোথায় ঘুরতে যাবে এনিয়েও নিজেদের মধ্যে আলাপ করছিল তারা। জানতে চাইলে রায়হান বাংলানিউজকে জানায়, তার খুব ভালো লাগছে। নভোথিয়েটার দেখে তারা মাওয়া যাবে। সেখানে ইলিশ মাছ খেয়ে বাসায় ফিরবে।
রায়হানের বাবা মো. সেকান্দার আলী বলেন, বড় কোনো বন্ধ ছাড়া বাচ্চাদের নিয়ে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার সময় হয় না।
প্রকৌশলী মো. হোসেন তার চার বছরের সন্তান সালমানকে সঙ্গে নিয়ে নভোথিয়েটার ঘুরতে এসেছেন। সালমান তার বাবার সঙ্গে থিয়েটারের চারপাশ ঘুরে দেখছিল, জানতে চাচ্ছিল নানা বিষয়। মো. হোসেনও আগ্রহ নিয়ে ছেলের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন। তিনি বলেন, আমাদের দেশের যেসব কালচার, তার সঙ্গে বাচ্চাদের পরিচয় করিয়ে দিতেই তাকে নিয়ে আসা। পাশাপাশি ঈদ আনন্দ উপভোগ করা।
এখন পর্যন্ত ছয় বার পরিবার নিয়ে নভোথিয়েটার ও সামরিক জাদুঘরে এসেছেন বিচেন্দ্র। তিনি মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাতে এখানে এসেছেন তিনি। বলেন, শহরে বিনোদনকেন্দ্র অভাব বলে এক প্রকার বাধ্য হয়ে এখানে এসেছি। সরকার যদি নতুন কোনো বিনোদন কেন্দ্র করে তাহলে আমাদের জন্যই অনেক ভালো। পাশাপাশি সরকার যদি পুরনো বিনোদন কেন্দ্রগুলোয় নতুনত্ব আনে সবার জন্য ভালো।
নভোথিয়েটার-সামরিক জাদুঘর সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ঈদের ছুটিতে ব্যাপক দর্শনার্থী আসছেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা এখানে আনন্দ উপভোগ করছে। তারা তাদের দায়িত্ব পালন করছেন। দর্শনার্থীদের সুবিধা দিতে তারা নানা ব্যবস্থা রেখেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২৩
ইএসএস/এমজে