লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের আবাসিক কোয়ার্টারের একটি ঘর থেকে মমতাজ বেগম (৪৫) নামে এক নারীর খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মরদেহটি কয়েক খণ্ডে বিভক্ত ছিল।
সোমবার (২৫ এপ্রিল) দিনগত রাত ২টার দিকে মরদেহের অংশগুলো উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত মমতাজ বেগম লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার কুশাখালী এলাকার মৃত আব্দুল মতিনের স্ত্রী।
জানা গেছে, মমতাজের স্বামী লক্ষ্মীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগে গাড়ি চালক পদে চাকরি করতেন। স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে তার দুই ছেলে শরিফুল ইসলাম বাপ্পী ও ছোট ছেলে সাইফুল ইসলাম রকিকে নিয়ে সড়ক বিভাগের স্টাফ কোয়ার্টারের একটি বাসায় বসবাস করছেন মমতাজ।
বড় ছেলে বাপ্পী সড়ক বিভাগে অস্থায়ী ভিত্তিতে পিয়নের কাজ করেন।
এ ঘটনায় তার বড় ছেলে বাপ্পীকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ছোট ছেলে রকির কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। তিনি লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের ডিগ্রির ছাত্র।
স্থানীয় লোকজন জানায়, মমতাজ তার ছোট ছেলে রকিকে বাসায় রেখে বড় ছেলে বাপ্পীকে নিয়ে ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে যান। সোমবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় তারা সড়ক বিভাগের আবাসিক কোয়ার্টারের বাসায় ফেরেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে বড় ছেলে বাপ্পী বাসায় এসে তার মাকে ডাকাডাকি করেন। এতে কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। এসময় তিনি ঘরের প্রধান ফটকে তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পান। আশপাশের বাসায় খোঁজ নিয়েও তার মার কোনো খোঁজ না পেয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকে। এসময় মায়ের রক্তমাখা খণ্ডিত মরদেহ দেখে চিৎকার দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা (উপ পরিদর্শক) শহিদুল ইসলাম বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত মমতাজের বড় ছেলে শরিফুল ইসলাম বাপ্পীকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন জানান, কি কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পারিবারিক বিরোধের জেরে মমতাজ বেগম খুন হয়ে থাকতে পারেন। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২৩
আরএ