ঢাকা: রাজধানীর খিলগাঁও থেকে জালনোট তৈরি ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত একটি চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান বাংলানিউজকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন, মো. আল আমিন ও মো. কাশেম আলী। অভিযানে তাদের কাছ থেকে ১ লাখ ৮২ হাজার টাকা মূল্যের জাল নোট এবং জাল নোট তৈরির কাজে ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপ, দুটি মোবাইল ফোন ও একটি প্রিন্টার উদ্ধার করা হয়।
মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান তিনি জানান, খিলগাঁও থানার দক্ষিণ গোড়ানের শান্তিপুর এলাকার একটি বাসার ছাদে কয়েকজন লোক জাল নোট কেনাবেচা করছেন- এমন তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার বিকেল ৪টার দিকে খিলগাঁও থানার দক্ষিণ গোড়ান এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালানোর চেষ্টা করলেও পারেনি।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ডিসি জানান, গ্রেপ্তাররা ফেসবুকে ভুয়া আইডির মাধ্যমে গ্রুপ খুলে জাল নোট বিক্রির জন্য ক্রেতার খোঁজে প্রচার-প্রচারণা চালাত। গ্রুপে যোগ দেন জাল টাকার ব্যবসা করতে ইচ্ছুক কয়েকজন যুবক। তারা মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রাম ব্যবহার করতেন। পরে শুরু হতো তাদের দরদাম ও কেনাবেচা। জাল টাকাকে তারা বিভিন্ন নামে ডাকতেন, যেমন- প্রোডাক্ট, মাল বা প্যাকেট।
জাল টাকা বিক্রির কৌশল সম্পর্কে তিনি জানান, তাদের এ সাপ্লাই চেইন কয়েকটি ধাপে কাজ করত। প্রস্তুতকারকের কাছ থেকে পাইকারি বা মধ্যস্বত্বভোগীর মাধ্যমে খুচরা বিক্রেতার কাছে পৌঁছাত। প্রথম দিকে পাইকারি ক্রেতারা সরাসরি ‘প্রোডাক্ট’ নিলেও বিশ্বস্ততা বাড়লে বিভিন্ন কুরিয়ার সার্ভিসের সহায়তায় বিলি করা হতো।
ডিসি আরও জানান, পুলিশের নজর এড়াতে ছোট নোটকেই টার্গেট করতেন গ্রেপ্তাররা। কারণ ছোট নোটের বিষয়ে অভিযোগ দেওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। ধরা পরা এড়াতে তারা অপেক্ষাকৃত কম আয়ের মানুষকে টার্গেট করতেন। ঈদুল ফিতরের পর ভারত থেকে উন্নতমানের সিকিউরিটি পেপার এনে জাল নোট প্রিন্ট দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে খিলগাঁও থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২৩
এসজেএ/আরএইচ