নড়াইল: জেলার লোহাগড়া উপজেলায় ছেলের সামনে এক নারীকে শ্লীলতাহানি ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় জেরে ওই নারীর ছেলে দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে শেখ সাজ্জাদ (২৭) নামে এক ব্যক্তির বাম পায়ের রগ কেটে দিয়েছেন।
সোমবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের কোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। আহত সাজ্জাদ ওই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মুজিবর শেখের ছেলে।
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ সিরু শেখের ছেলে ইসরাফিল শেখ (৪৮) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। বর্তমান ওই গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মাহাবুর শেখ ও হিমা খাঁ সমর্থিত লোকজনদের সঙ্গে একই গ্রামের শাহাদত শেখ সমর্থিত লোকজনদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব সংঘাত চলে আসছিল।
এর জের ধরে ঈদের পরের দিন গত রোববার (২৩ এপ্রিল) বিবাদমান ওই দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর ওইদিন সন্ধ্যায় লোহাগড়া থানা পুলিশের তৎপরতায় দুটি পক্ষ দ্বন্দ্ব সংঘাতে লিপ্ত হবে না মর্মে পুলিশের নিকট মুচলেকা দিয়েছে।
কিন্তু সোমবার বিকেলে ওই গ্রামের শাহাবুদ্দিন ওরফে সাহেব মোল্লার স্ত্রী নার্গিস বেগম (৪০) বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে নদীতে গোসল করতে গেলে তার ছেলে তানভীর হাসানের সামনে তার শ্লীলতাহানি করে প্রতিপক্ষের লোকজন। পাশাপাশি অশ্লীল কথাবার্তা ও গালিগালাজসহ এলোপাতাড়ি মারপিটও করা হয়।
পরে আহত নার্গিস বেগমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন তার ভাবি রিক্তা বেগম। বর্তমানে তিনি লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন।
এ ঘটনার জের ধরে সন্ধ্যার আগে নার্গিস বেগমের ছেলে কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে সাজ্জাদকে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে ও বাম পায়ের রগ কেটে দেয়।
আহত সাজ্জাদকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠায়।
এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২৩
এসআইএ