ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

নিখোঁজ হাফেজের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২৩
নিখোঁজ হাফেজের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩

চাঁদপুর: জেলার হাজীগঞ্জে নিখোঁজের দুইদিন পর মো. আব্দুল্লাহ্ আল কাউছার নামের ১৭ বছর বয়সী কিশোর হাফেজের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসাবে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে গ্রেপ্তারদের চাঁদপুর আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার ও আদালতে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ।

গ্রেপ্তাররা হলেন, উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাউড়া গ্রামের হেলাল উল্যার ছেলে ও পৌরসভাধীন ৬ নম্বর ওয়ার্ড মকিমাবাদ গ্রামের মাস্টার পাড়ার মুদি দোকানদার ফয়েজুল্লাহ্ ফয়েজ (২৪), পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ড রান্ধুনীমূড়া গ্রামের মো. মহিউদ্দিনের ছেলে শাহ্ মোহাম্মদ সিফাত (১৮) ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড মকিমাবাদ গ্রামের মো. জাকির হোসেন মোহনের ছেলে মো. মুনতাসির মামুন নিরব (১৭)।

এ ঘটনায় কাউছারের বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে হাজীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর আগে গত রোববার (২৩ এপ্রিল) রাত আনুমানিক ১২টার দিকে হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন ৬ নম্বর ওয়ার্ড মকিমাবাদ গ্রামের মাস্টার পাড়া প্রবাসী আব্দুল আজিজের নির্মাণাধীন ৬ তলা ভবনের নিচতলার লিফটের গর্ত থেকে ওই হাফেজের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

হত্যাকাণ্ডের শিকার মো. আব্দুল্লাহ আল কাউছার চাঁদপুর সদর উপজেলার পৌরসভাধীন পুরান বাজারের রামদাসাদী এলাকার ট্রাক ড্রাইভার মো. মোস্তফা কামালের ছেলে। সে তার বাবা, মা, ভাই-বোনদের সঙ্গে মকিমাবাদ গ্রামের মাস্টার পাড়া মিলন মোল্লার বাড়িতে ভাড়া বাসায় থাকতো।

পরিবারের সদস্যরা জানান, কাউছার রমজান মাসে ফরিদগঞ্জের একটি বাড়িতে তারাবীহ’র নামাজ পড়াতো। সেখান থেকে গত শুক্রবার বিকেলে বাসায় এসে মায়ের কাছে তারাবীহ’র নামাজে পাওয়া সম্মানীর টাকা এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন চার্জে দিয়ে মাগরিবের নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। এরপর আর বাসায় ফিরে আসেনি।

হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ বাংলানিউজকে বলেন, হাফেজ কাউছারের মরদেহ সোমবার ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় এদিন রাতেই তার বাবা অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক তদন্তে এটি হত্যাকাণ্ড বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। আমরা পরিবারের দেওয়া বক্তব্য এবং বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে এনেছি। এর মধ্যে সন্দেহভাজন হিসাবে তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং অন্যদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত কাজ চলমান।

আরও পড়ুন: লিফটের ফাঁকা গর্তে মিললো নিখোঁজ হাফেজের মরদেহ

বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২৩ 
এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।