ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ফরিদপুর জেলা পরিষদ সদস্যকে কুপিয়ে জখম: হামলাকারীদের বিচার দাবি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২৩
ফরিদপুর জেলা পরিষদ সদস্যকে কুপিয়ে জখম: হামলাকারীদের বিচার দাবি

ফরিদপুর: ফরিদপুরে জেলা পরিষদ সদস্য এখলাস আলী ফকিরের (৪৫) ওপর নৃশংস হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জেলা পরিষদ মেম্বার অ্যাসোসিয়েশন। সেই সঙ্গে এ হামলার ঘটনার সাথে জড়িতদের সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন তারা।

 

রোববার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে ফরিদপুর জেলা পরিষদের সামনে এ মানববন্ধন করা হয়। এতে ফরিদপুরসহ সারাদেশ থেকে আগত জেলা পরিষদের সদস্যরা অংশ নেন।

বাংলাদেশ জেলা পরিষদ মেম্বার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বাবুল মিয়ার সভাপতিত্বে এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন জেলা পরিষদ সদস্য বিএম তৌফিক, আরমান হাফিজ, আঞ্জুমান আরা, আক্তার হোসেন, আহসান হাবীব সিকদার, জাকারিয়া কাউসার প্রমুখ।  

এসময় এখলাস ফকিরের শিশু সন্তানেরাও এ মানববন্ধনে অংশ নেয়।

এর আগে তারা ফরিদপুর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গিয়ে তাদের নিকট স্মারকলিপি দিয়ে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে জোর দাবি জানান।

এ প্রসঙ্গে সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত গোলদার জানান, জেলা পরিষদের সদস্যর ওপর হামলার ঘটনায় এ পর্যন্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের দুজনেরই বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

এব্যাপারে অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে জানিয়ে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) মো. হেলালউদ্দিন ভূইয়া বলেন, ফরিদপুর জেলা পরিষদ সদস্য এখলাছ আলী ফকিরের ওপর যারা সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছেন তারা যত শক্তিশালী হোক না কেন তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে আইন শৃংখলা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত। আশা করছি অচিরেই বাকি আসামিদেরও গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা সম্ভব।

প্রসঙ্গ, গত মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরের দিকে জেলা পরিষদের সদস্য এখলাস আলী ফকির ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার পূর্বশৈলডুবী গ্রামে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে গেলে তার ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলার ঘটনা ঘটে।  

এসময় তাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

উল্লেখ, ফরিদপুর সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নে দুইটি গ্রুপ বিদ্যমান রয়েছে। একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দেন বর্তমান চেয়ারম্যান আকতারুজ্জামান তিতাস, অপরটির নেতৃত্ব দেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন ফকির। হামলার শিকার এখলাস আলী ফকির বর্তমান চেয়ারম্যান আকতারুজ্জামানের সমর্থক। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পর থেকেই দু’পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।