সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে ছেলেকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে যাওয়ার পথে ছেলেসহ নিখোঁজ হন রিপন তালুকদার (৪২) নামে এক সাবেক মেম্বর (ইউপি সদস্য)। এ ঘটনার একদিন পরে তার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মঙ্গলবার (০২ মে) সকালে উপজেলার দূর্গম চরাঞ্চল ভেটুয়া দক্ষিণ ঘাট এলাকায় যমুনা নদীতে ভাসমান অবস্থায় আশিক বাবুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে সোমবার (০১ মে) সন্ধ্যায় চরগিরিশ ইউনিয়নের বারজান এলাকায় যমুনা নদী থেকে সাবেক মেম্বর রিপন তালুকদারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত রিপন তালুকদার চরগিরিশ ইউনিয়নের সিন্দুর আটা গ্ৰামের মো. শহীদ তালুকদারের ছেলে ও চরগিরিশ ইউনিয়নের সাবেক ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য।
নাটুয়ারপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মিজানুর রহমান বলেন, রোববার (৩০ এপ্রিল) ছেলেকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি পার্শ্ববর্তী নিশ্চিন্তপুর ইউনিয়নের ডিগ্রি দোরতা গ্রামে যাওয়ার জন্য রওয়ানা হন রিপন তালুকদার। প্রথমে যমুনার অভ্যন্তরে ছোট ক্যানেল হেঁটে পার হন তারা। এরপর বড় নদী পার হওয়ার জন্য রিপন স্ত্রীকে ফোন দিয়ে বলেন তার চাচা শ্বশুড় যেন নৌকা নিয়ে ঘাটে আসে। ওইদিন সন্ধ্যার পর থেকেই রিপনের ফোন নম্বর বন্ধ পান স্বজনরা। ঘাটে এসে তাদের জুতো ও সঙ্গে নেওয়া অন্যান্য জিনিসপত্র ভাসতে দেখেন তারা।
পরদিন সোমবার সন্ধ্যায় যমুনা নদীতে রিপন তালুকদারের মরদেহ ভেসে ওঠে। এরপর আজ (মঙ্গলবার) সকালে ভেটুয়া দক্ষিণ ঘাট এলাকায় তার ছেলে আশিকের মরদেহ ভেসে ওঠে।
পরিদর্শক মিজানুর রহমান আরও বলেন, মরদেহ দুইটি ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এটি হত্যাকাণ্ড কিনা সেটি ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। এ ঘটনায় ইউডি মামলা দায়েরের প্রস্তুতিও চলছে।
তবে নিহত রিপন তালুকদারের ভাই শিপন তালুকদারসহ স্বজনেরা এটিকে হত্যাকাণ্ড হিসেবে দাবি করে জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই স্ত্রীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলছিল রিপনের। শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাদের দুইজনকে হত্যার পর যমুনা নদীতে ফেলে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৭ ঘণ্টা, মে ০২, ২০২৩
এফআর