নওগাঁ: চলতি বোরো মৌসুমের ধান কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত চাষিরা। গেল বছরের তুলনায় এ বছর ভালো ফলন হয়েছে।
জেলার আবাদপুকুর ধানের হাটে কথা হয় কৃষক আল মাসুদের সঙ্গে। ধান বিক্রি করতে এসে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমানে হাটগুলোয় প্রতি মণ জিরা জাতের ধান বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ১০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকায়। আর ৯০ জাতের ধান বিক্রি হচ্ছে গড়ে এক হাজার ৩০০ থেকে এক হাজার ৪০০ টাকা পর্যন্ত। তবে এই দামে আমাদের পোষাবে না। এখন সর্বনিম্ন জিরা জাতের ধান এক হাজার ৪০০ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা মণ বিক্রি করতে হবে। তাহলে কৃষকের কিছু টাকা লাভ হবে। তাছাড়া এই দামে ধান বিক্রি করে লাভ হওয়া সম্ভব না। এই দামে যদি আমাদের ধান বিক্রি করতে হয়, তাহলে লাভের জায়গায় আমাদের লোকসান গুনতে হবে।
সদর উপজেলার বাইপাস এলাকার কৃষক মোজাফফর বাংলানিউজকে বলেন, ধান চাষের শুরু থেকে প্রথমে বাড়লো বিদ্যুতের দাম, ফলে সেচ খরচ বেড়েছে। এরপর বাড়লো সব ধরনের সারের দাম। এ বছর ধানের পোকা মারতে দফায় দফায় ব্যবহার করা হয়েছে কীটনাশক। আবার শেষ সময় ঘরে ধান তোলার জন্য বাড়তি টাকা দিতে হয়েছে শ্রমিকদের। সব মিলে বিঘা প্রতি আমাদের খরচে হয়েছে প্রায় ১৩ থেকে ১৪ হাজার টাকা। বিপরীতে ধান পেয়েছি ১৮ থেকে ১৯ মণ।
তিনি আরও বলেন, গেলো বছর এক বিঘা ধান কাটাতে শ্রমিকদের দিতে হয়েছে তিন হাজার। কিন্তু এ বছর শ্রমিকদের দিতে হয়েছে চার হাজার থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা পর্যন্ত। এতো কষ্ট করে ফসল, বাজারে নিয়ে গেলে মন খারাপ হয়ে যায়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁর উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বাংলানিউজকে জানান, এ বছর জেলার প্রায় দুই লাখ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। এ বছরের ফলন কৃষি বিভাগের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। গেল কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর আবহাওয়া ছিল ভালো ছিল, ফলে ধানের ফলন মিলেছে আশানুরূপ। পাশাপাশি বাজারগুলোয় দামও রয়েছে লাভজনক।
তিনি আরও বলেন, কৃষক যাতে করে ধানের ন্যায্যমূল্য পান এ বিষয়ে সরকার কাজ করছে। আমাদের প্রতিটি উপজেলা এবং মাঠ পর্যায়ের সব কর্মকর্তা এ বিষয়ে কাজ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০২৩
এসআইএ