কক্সবাজার: পরিবেশ-পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে মিয়ানমারের উদ্দেশে যাত্রা করেছে ২০ রোহিঙ্গাসহ ২৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
শুক্রবার (৫ মে) সকালে কক্সবাজারের টেকনাফের ট্রানজিট জেটি ঘাট দিয়ে তারা মিয়ানমারের উদ্দেশে যাত্রা করেন।
কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে তিন নারীসহ ২০ জন রোহিঙ্গা ও ছয়জন সরকারি কর্মকর্তা ও একজন অনুবাদক রয়েছেন। দলটি মিয়ানমারের রোহিঙ্গা পরিস্থিতি, প্রত্যাবাসনে প্রস্তুতি ও সেখানকার পরিবেশ-পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সন্ধ্যা নাগাদ একই পথে টেকনাফে ফেরার কথা রয়েছে।
প্রতিনিধিদলে রোহিঙ্গাদের মধ্যে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা, নয়াপাড়া ও জাদিমুড়া এলাকায় অবস্থিত ২৪, ২৬ ও ২৭ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরের ২০ জন রোহিঙ্গা নেতা রয়েছেন।
মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে অতিরিক্ত সচিব মো. খালেদ হোসেন, ডিজিএফআই প্রতিনিধি মেজর মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, এনএসআই প্রতিনিধি মোহাম্মদ শাহজাহান আলী, স্বরাস্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব বিশ্বজিৎ দেবনাথ, বিজিবি প্রতিনিধি মো. আনোয়ার হোসেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের শাহজাহান ও অনুবাদক তারিক ইমরান রয়েছেন।
কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান বলেন, মূলত মিয়ানমারের পরিবেশ-পরিস্থিতি দেখতে আমরা সেখানে যাচ্ছি। প্রত্যাবাসন শুরু হলে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের কোথাই রাখা হবে সে জায়গাটি ও সেখানকার অবস্থা আমরা দেখবো। প্রতিনিধিদলে সরকারি কর্মকর্তা ছাড়াও ২০ জন রোহিঙ্গা প্রতিনিধি রয়েছেন। সেখানে তিনজন নারীও আছেন। তারা তাদের বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করবেন।
প্রসঙ্গত, মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের দেওয়া রোহিঙ্গাদের তালিকা যাচাই-বাছাই করতে গত ১৫ মার্চ টেকনাফ হয়ে বাংলাদেশে আসেন মিয়ানমার সরকারের ১৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধিদলটি টানা সাতদিন টেকনাফের স্থলবন্দর রেস্ট হাউসে অবস্থান করে ১৪৭ রোহিঙ্গা পরিবারের মোট ৪৮৬ জন রোহিঙ্গার তথ্য যাচাই-বাছাই করেন। ২২ মার্চ সকালে প্রতিনিধিদলটি নাফনদী পার হয়ে মিয়ানমারে ফিরে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০২৩
এসবি/আরবি