ঢাকা: রাজধানীর গেন্ডারিয়া ধুপখোলা এলাকায় গ্যাস লাইন মেরামতের সময় বিস্ফোরণে দগ্ধ হওয়ার ঘটনায় মেহেদী হাসান শাওন (২৩) নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (৬ মে) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, শাওন নামে ওই জবি শিক্ষার্থীর শরীরের ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়। শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আজ (৬ মে) ভোরে তার মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে গত ১ মে সকাল ৯টার দিকে ধুপখোলা বাজারের পাশে ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে শাওন ও শিশুসহ মোট ৯ জন দগ্ধ হন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুরাতন বার্ন ইউনিট ও শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
অন্য দগ্ধরা হলেন- মুদি দোকানদার আব্দুর রহিম (৫০), তার মেয়ে মীম আক্তার (২১) ও নাতি আলিফ (২), ডিমের ব্যবসায়ী মো. রাশেদ (৩০), বস্ত্র ব্যবসায়ী আলী হোসেন (৩০), পথচারী সাহেরা বেগম (৬৫), মো. সোহেল (৪৮) ও মিজানুর রহমান (৩২)।
মৃত শাওনের বন্ধু মো. হাসান আলী জানান, শাওনের বাড়ি নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া উপজেলার রহিমানপুর গ্রামে। বাবার নাম আব্দুল লতিফ। গেন্ডারিয়া ডিস্ট্রিলারি রোডের একটি মেসে থাকতেন এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানি বিভাগের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।
তিনি আরও জানান, ঘটনার দিন কাঁচা বাজার করতে গিয়েছিলেন শাওন। বাজার করা শেষে ফেরার পথে ধুপখোলা এলাকায় পৌঁছালে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এতে তার শরীরে আগুন ধরে যায়। পরে ড্রেনের পানিতে নেমে পড়েন শাওন।
এদিকে গেন্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু সাঈদ আল মামুন জানান, ওইদিন (১ মে) গেন্ডারিয়ার ধুপখোলা মাঠের এলাকায় ওয়াসার লোকজন কাজ করছিল। সেই কাজের কারণে তিতাসের গ্যাস লাইন লিকেজ হয়ে যায়। এতে ওইদিন (১ মে) সকালে সেখানে আগুন ধরে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিভিয়ে ফেলে।
ওসি আরও জানান, ঘটনাস্থলে একটি ডিমের পাইকারি দোকান ছিল। সেই দোকানেই আগুন লাগে। এই ঘটনায় দগ্ধ হয়ে বেশ কয়েকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পরে ঘটনাস্থলে তিতাসের লোকজন কাজ করে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৩ ঘণ্টা, মে ৬, ২০২৩
এজেডএস/এনএস