ঢাকা: জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় আমদানি রপ্তানি নিয়ন্ত্রক দপ্তরের সাবেক নিয়ন্ত্রক মুন্সী রুহুল আমীন ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার (০৭ মে) দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে সজেকা ঢাকা-১ এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- আমদানি রপ্তানি নিয়ন্ত্রক দপ্তরের সাবেক নিয়ন্ত্রক মুন্সী রুহুল আমীন ও তার স্ত্রীর কানিজ ফাতেমা।
জানা গেছে, স্বামী মুন্সী রুহুল আমীন সহায়তায় অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদকে বৈধতা দানের উদ্দেশ্যে নিজ নামে স্লাভ আয় বহির্ভূত এক কোটি ৭৫ লাখ ৮ হাজার ৬০১ টাকার সম্পদ অর্জনপূর্বক তা ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পন বিবরণীতে ৯৩ লাখ ১৪ হাজার ৪২৩ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ধারা ও দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
অভিযোগ অনুসন্ধানকালে প্রাপ্ত তথ্য ও রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, প্রাথমিক অনুসন্ধানে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট মুন্সী রুহুল আমীন, ও কানিজ ফাতেমা এর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন হতে তার নামে সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ জারি করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কানিজ ফাতেমা সম্পদ বিবরণী কমিশনে দাখিল করেন। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কানিজ ফাতেমা দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে তার নামে ১ কোটি ৫৮ লাখ ৩০ হাজার ৬৬৬ টাকার স্থাবর সম্পদ এবং ১৭ লাখ ২৮ হাজার ২১১ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ সর্বমোট ১ কোটি ৭৫ লাখ ৫৮ হাজার ৮৭৭ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্যাদি প্রদর্শন করেন। দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী যাচাই অনুসন্ধানকালে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কানিজ ফাতেমা এর নামে ২ কোটি ৫১ লাখ ৪৫ হাজার ৮৯ টাকার স্থাবর সম্পদ এবং ১৭ লাখ ২৮ হাজার ২১১ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ সর্বমোট ২ কোটি ৬৮ লাখ ৭৩ হাজার ৩০০ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্যাদি/রেকর্ডপত্র পাওয়া যায়। অর্থাৎ অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কানিজ ফাতেমা দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে এক কোটি ৭৫ লাখ ৮ হাজার ৬০১ টাকা, যার স্বপক্ষে বৈধ কোনো উৎস অনুসন্ধানকালে পাওয়া যায়নি। কাজেই আসামি কানিজ ফাতেমা তার স্বামী মুন্সী রুহুল আমীন সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগদখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং সম্পদের তথ্য গোপন করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৮ এর ২৬(২) ধারা ও দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০২৩
এসএমএকে/এএটি