গাজীপুর: গাজীপুরে সিয়াম হত্যার অভিযোগে কিশোর গ্যাংয়ের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদের মধ্যে পাঁচজনকে শনিবার (৬ মে) রাতে ও একজনকে ২৯ এপ্রিল গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- গাজীপুর মেট্রোপলিটনের সদর থানার মাদববাড়ী এলাকার অজয় কুমার সরকারের ছেলে অর্পণ সরকার জয় (১৬), বাঙ্গালগাছ এলাকার মো. ইউনুস আলীর ছেলে মো. রাকিব (২২), দক্ষিণ ছায়াবিথী এলাকার হাসান জামানের ছেলে মো. সাজ্জাদ হোসেন সাজিদ (১৫), একই এলাকার মোস্তফা কামালের ছেলে রিয়াদ হোসেন মুন্না (১৮), জামালপুর সদর থানার কেন্দুয়াকালিয়াবাড়ী এলাকার মোশারফ হোসেনের ছেলে মো. হাসিবুর রহমান টুটুল (২১) ও জামালপুরের মেলান্দহ থানার ব্রাহ্মণপাড়া এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে মো. শাকিল (১৯)।
নিহত হলেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সদর থানার ছোট দেওড়া এলাকার মো. সফিকুল ইসলামের ছেলে সিয়াম (২০)।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার রেজওয়ান আহমেদ জানান, গত ২৭ এপ্রিল দক্ষিণ ছায়াবিথী ফনিরটেক এলাকায় ধানক্ষেতের পাশে হাত-পা ও মুখ বাঁধা সিয়ামের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় সদর থানায় ২৮ এপ্রিল মামলা রুজু হয়। পরে তথ্যপ্রযুক্তি ও বিভিন্নভাবে তদন্ত করে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করে। ২৯ এপ্রিল দক্ষিণ ছায়াবিথী এলাকা থেকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত অর্পণ সরকার জয়কে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় অর্পণকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, একটি মেয়ের সঙ্গে হত্যার মূল পরিপকল্পানাকারী ও হত্যায় সরাসরি জড়িত মো. আরাফাতের (২০) প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। ঘটনার পাঁচদিন আগে ওই মেয়ের এক আত্মীয়ের বাড়ি ছোট দেওড়া এলাকায় তার বান্ধবিদের সঙ্গে ঘুরতে গেলে নিহত সিয়ামের সঙ্গে পরিচয় হয়। এ সময় তারা নিজেদের মধ্যে ফেসবুক আইডি বিনিময় করে এবং পরে ফেসবুকে চ্যাট করতে থাকে। অন্যদিকে ওই মেয়ের প্রেমিক আরাফাত তার প্রেমিকার ফেসবুক আইডি তার মোবাইলে লগইন করে রাখে। এতে ম্যাসেঞ্জারে ওই মেয়ে ও সিয়ামের কথোপকথন বা চ্যাট আরাফাত তার মোবাইলে দেখতে পায়। পরে প্রেমিকার সঙ্গে চ্যাট করা ও কথা বলায় আরাফাত ক্ষোভে সিয়ামকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এক পর্যায়ে গত ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় ওই মেয়ের ম্যাসেঞ্জার আইডি থেকে আরাফাত পরিচয় গোপন করে প্রেমিকা সেজে সিয়ামকে দক্ষিণ ছায়াবিথী ফনিরটেক এলাকায় দেখা করতে বলে। পরে সিয়াম সেখানে যায়। এর আগে থেকেই সেখানে আরাফাতসহ ১০/১৫ জন উৎপেতে থাকে। এ সময় আরাফাতের নির্দেশে সিয়ামের হাত, পা ও মুখ বেঁধে এলোপাতাড়িভাবে চাপাতি, সুইচ গিয়ার, চাকু দিয়ে কোপাতে থাকে। পরে সিয়ামের মৃত্যু নিশ্চিত হলে যে যার মতো চলে যায়। বাকি পাঁচজনকে শনিবার রাতে বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০২৩
আরএস/আরবি