ঢাকা: ঈদের আগে ও পরে সড়ক-মহাসড়কে গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত যান চলাচল বেড়ে যায়। এই সময়ে বাড়ে দুর্ঘটনাও।
সড়কে ঘটে যাওয়া এসব দুর্ঘটনার তথ্য নিয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি, রোড সেফটি ফাউন্ডেশন ও সেভ দ্যা রোড বিভিন্ন তথ্য দিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে বিআরটিএর দেওয়া তথ্য নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৫ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত ১৫ দিন ২৫৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৩৯ জন নিহত ও ৫১০ জন আহত হয়েছেন।
এই প্রতিবেদন পত্র-পত্রিকা ও পুলিশ বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় ও যাচাই বাছাই করে তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
অথচ বিআরটিএর দেওয়া দুর্ঘটনার তথ্যের সঙ্গে মাত্র একটি সরকারি হাসপাতালেরই তথ্যে ফারাক আকাশ-পাতাল।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৫ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল এই ১৫ দিনে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতালে) ভর্তি হয়েছেন প্রায় ১ হাজার ১৫৪ জনের মতো।
আর বিআরটিএ কর্মীরা ৬৪টি জেলা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে এই ১৫ দিনে আহত পেয়েছেন ৫১০ জন, যা কি না সরকারি এক হাসপাতালের তথ্যের অর্ধেকেরও কম।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের অন্যান্য হাসপাতালের তথ্য যোগ করলে আহতের সংখ্যা আরও বাড়বে।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) দুর্ঘটনা প্রতিবেদনে হতাহতের সংখ্যা সবসময় কম দেখানো হয়। তারা প্রকৃত তথ্য দেয় না। দেশের একটি মাত্র হাসপাতালের তথ্যের সঙ্গেই তাদের তথ্যের মিল নেই। ঢাকা মেডিকেল কলেজ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন হাসপাতালের তথ্য নিলে এই সংখ্যা আরও বাড়বে।
তিনি আরও বলেন, এখন বিআরটিএর উচিত মাঠ পর্যায় থেকে ভালোভাবে খবর নিয়ে দুর্ঘটনার সঠিক তথ্য সরকারে কাছে তুলে ধরা। এ ভাবে জনগণের টাকা খরচ করে ভুল তথ্য দিলে সড়কে দুর্ঘটনা কখনো কমবে না। দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সঠিক তথ্য দিয়ে যেখানে সমস্যা হচ্ছে সেখানে মনিটরিং করে সমস্যার সমাধান করতে হবে। তাহলে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) পরিচালক (রোড সেফটি) শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রব্বানী বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। আমরা পুলিশ, গণমাধ্যম ও আমাদের সংস্থার মাধ্যমে খবর নিয়ে দুর্ঘটনার রিপোর্ট তৈরি করি।
দুর্ঘটনার অনেক খবর কোথাও উঠে আসে না দাবি করে তিনি বলেন, সে ক্ষেত্রে সংখ্যা কম বেশি হতে পারে। তবে খুব দ্রুত আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে বৈঠক করব যেন প্রকৃত চিত্র যেন পাই।
বাংলাদেশ সময়: ০০২২ ঘণ্টা, মে ৮, ২০২৩
এনবি/আরএইচ