ঢাকা: রাজধানীর খিলক্ষেতে ইকরাম হোসেন মোল্লা নামে এক যুবককে হত্যার ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন- শান্ত ও মো. সিদ্দিক।
রোববার (৭ মে) তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানান খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী সাহান হক।
তিনি জানান, গত ৫ মে খিলক্ষেতের ডুমনী এলাকার বাসিন্দা ইকরাম হোসেন মোল্যা নিখোঁজের ঘটনায় একটি জিডি করা হয়। এরপর খিলক্ষেত থানা পুলিশ ইকরামকে উদ্ধারে কাজ শুরু করে। পরদিন ৬ মে সকালে বালুচর এলাকায় একটি মরদেহ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পরিবার এটি ইকরামের লাশ বলে শনাক্ত করে।
এ সময় ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত খাতা সেলাইয়ের ভ্রমর, কাটার ও একটি হাতুড়ি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় গত ৬ মে ইকরামের পিতা বাদী হয়ে খিলক্ষেত থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তে নেমে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তদের অবস্থান শনাক্ত করে ৬ মে রাতে খিলক্ষেত থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে শান্ত ও সিদ্দিককে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে ওসি বলেন, ইকরাম একই এলাকায় বসবাসরত শান্তকে বালুর ব্যবসার জন্য দুই লাখ টাকা দেয়। যথাযথভাবে লভ্যাংশ না দেওয়ায় ইকরাম তার টাকা ফেরত চাইলে শান্ত টাকা না দিয়ে ঘোরাতে থাকেন। অপরদিকে সিদ্দিকের মাকে তার বেপরোয়া জীবনযাপন নিয়ে ইকরাম বিচার দেন এমন ধারণা থেকে সিদ্দিক ভুক্তভোগী ইকরামের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন।
একপর্যায়ে শান্ত ও সিদ্দিক ইকরামকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেন। সে অনুযায়ী গত ৪ মে ইকরামকে কল করে ডুমনীর বালুচর এলাকায় ডেকে নিয়ে আসেন শান্ত। সেখানে তারা ভ্রমর, হাতুড়ি ও কাটার দিয়ে ইকরামকে হত্যা করে তার মরদেহ কচুরিপানা দিয়ে ঢেকে দেন।
শান্তর কাছে পাওনা টাকা ফেরত চাওয়া এবং সিদ্দিকের বেপরোয়া চলাফেরার জন্য তার মায়ের কাছে বিচার দেওয়ায় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ইকরামকে তারা হত্যা করে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ০০১০ ঘণ্টা, মে ৮, ২০২৩
পিএম/আরএইচ