নোয়াখালী: নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় প্রেম প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় এক মাদরাসাছাত্রীকে (১৯) অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
সোমবার (৮ মে) নির্যাতিতা তরুণী নিজে বাদী হয়ে অভিযুক্ত যুবকসহ আরও দুইজনের নাম উল্লেখ করে চরজব্বর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
অভিযুক্ত নাজিমুল হক সুমন (২৬) জেলার সদর উপজেলার নেয়াজপুর ইউনিয়নের পূর্ব সাহাপুর গ্রামের হাজী মজিবুল হকের ছেলে, সুমনের বোন রুমি আক্তার (২৩), অপর আসামি মর্জিনা আক্তার (৪৩) নোয়াখালী পৌরসভার লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকার মো. শাহীনের স্ত্রী। এছাড়াও মামলায় আরও তিন/চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ভিকটিম উপজেলার স্থানীয় একটি ফাজিল মাদরাসার আলিম দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। চার মাস আগে তার ব্যবহৃত নম্বর থেকে এক সহপাঠিকে কল দেওয়ার সময় একটি নম্বর ভুল হয়ে নাজিমুল হক সুমনের নম্বরে কল চলে যায়।
পরে সুমন তাকে প্রতিনিয়ত কল করতে থাকে। এরপর সুমন ভিকটিমকে প্রেমের প্রস্তাবসহ বিভিন্ন প্রলোভন দেখায়। ভিকটিম তার প্রস্তাবে রাজি না হলে সে শুধুমাত্র ভিকটিমের সাথে একবার দেখা করার অনুরোধ করে। ভিকটিম তার কথা বিশ্বাস করে দেখা করার প্রস্তাবে রাজি হয়।
একপর্যায়ে গত ২৯ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সুমন অজ্ঞাত আসামিদের সহযোগিতায় পূর্বপরিকল্পিত ভাবে ভিকটিমকে মাদরাসায় যাওয়ার পথে অপহরণ করে জেলা শহর মাইজদীতে নিয়ে যায়। ওই সময় সুমন ভিকটিমকে নোয়াখালী পৌরসভার লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকায় তার খালা মর্জিনা আক্তারের ইসলাম মিয়া চৌকিদার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে রুমি আক্তার ও মর্জিনা আক্তারের সহযোগিতায় ভিকটিমকে একাধিকবার ধর্ষণ করে সুমন এবং ভিকটিমকে তাদের বসত ঘরে আটকে রাখে।
ভিকটিম গত রোববার ৭ মে ভোরে ফজরের নামাজ পড়ার জন্য উঠলে, একটি মোবাইল দেখে কৌশলে তার ভাইয়ের মোবাইল ফোনে ম্যাসেজ দিয়ে সংক্ষেপে ঘটনার বিষয়ে জানিয়ে ঘটনাস্থলের নাম লিখে দেয়। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা সবাই পালিয়ে যায়।
চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবপ্রিয় দাশ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। পুলিশ আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চালাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০২৩
আরএ