মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজার পৌরসভায় এলজিইডির টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রজেক্ট অন ইন্টিগ্রেটেড সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের আয়োজনে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১০ মে) মৌলভীবাজার পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে পৌরসভা বোর্ডরুমে স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে এক পরামর্শমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- পৌরসভার প্যানেল মেয়র নাহিদ হোসেন, কাউন্সিলর আসাদ হোসেন মক্কু, সৈয়দ সেলিম হক, ফয়সল আহমদ, আনিসুজ্জামান বায়েছ, অ্যাডভোকেট পার্থ সারথি পাল, সালেহ আহমদ পাপ্পু, নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ নকিবুর রহমান, সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল মালেক, সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল হোসেন খান, কনজারভেন্সি অফিসার আব্দুল মতিন প্রমুখ।
শহরে বাসাবাড়ি, হোটেল-রেস্টুরেন্ট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মেডিকেল বর্জ্য তথা হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ফার্মেসির ব্যবহৃত বর্জ্য দিয়ে তৈরি করা হবে জৈব সার ও বায়োগ্যাস। প্লাস্টিক, পলিথিন ও ইলেকট্রিক বর্জ্য রিসাইকেল করে পুনরায় ব্যবহারের প্রক্রিয়া করা হবে এমনটাই জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
সভায় জানানো হয়- মৌলভীবাজারসহ দেশের চারটি সিটি করপোরেশন ও ১৭টি পৌরসভা, ৩টি সিটি করপোরেশন এই প্রকল্পের আওতায় রয়েছে। অর্থায়ন করছে এশিয়ান ইনফাস্টাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি)। সিলেট বিভাগের মধ্যে শুধু মৌলভীবাজার পৌরসভাকে এই প্রকল্পের আওতায় রাখা হয়েছে।
সভায় আরও জানানো হয়- মৌলভীবাজার পৌরসভায় মোট জনসংখ্যা ৭৯ হাজার ৬৯৮ জন। বর্তমানে প্রতিদিন বর্জ্য উৎপাদন হয় ২৯ টন। ২০৩৫ সালে সেটা হবে ৩৫ টন। সাধারণত শহরাঞ্চলের বাসাবাড়ির বর্জ্যে ৮৩ শতাংশ থাকে খাদ্যবর্জ্য। বাকিগুলো প্লাস্টিক, পলিথিন, ইলেকট্রিক ও মেডিকেল বর্জ্য।
সমস্যা হলো খাদ্য বর্জ্য ও এসব কঠিন বর্জ্য একসঙ্গে ফেলা হয়। বর্জ্যগুলো যেন আলাদা আলাদা বিনে ফেলা হয়। সে ব্যাপারে মৌলভীবাজার পৌরসভা উদ্যোগ নেবে। পরে সেগুলো প্রক্রিয়া করে ধরন অনুযায়ী জৈব সার, বায়োগ্যাস ও রিসাইকেল করা হবে।
বর্তমানে শহরতলির জগন্নাথপুর এলাকায় আধুনিক ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে। পৌরসভার গাড়ি দিয়ে পৌর এলাকার বাসাবাড়ি ও প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিদিন বর্জ্য সংগ্রহ করে সেখানে ফেলা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৫ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২৩
বিবিবি/আরএ