বাগেরহাট: ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাত হানার সময় যত এগিয়ে আসছে উপকূলীয় এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তত বাড়ছে। সেই সঙ্গে জেলা-উপজেলা প্রশাসনসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের তৎপরতাও বাড়ছে।
সাধারণ জনগণকে ঘূর্ণিঝড় মোখার ভয়াবহতা জানানো, সতর্ক করা এবং সঠিক সময়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করে মাইকিং করা হচ্ছে।
মোংলা, রামপাল, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।
এদিকে শনিবার সকাল থেকে বাগেরহাটের আবহাওয়া স্বাভাবিক ছিল। সারাদিন রোদ-মেঘের লুকোচুরি চলেছে আকাশে। ভারি মেঘ বা বৃষ্টি ছিল না। ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার তেমন আগ্রহ দেখা যায়নি।
পুলিশের পক্ষ থেকে পশুর নদীর মামার ঘাট, পৌর শহরসহ বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামসুদ্দীন।
তিনি বলেন, সমুদ্র তীরবর্তী এলাকা হওয়ায় মোংলা উপজেলার মানুষ ঝড়-জলোচ্ছ্বাস মোকাবিলা করে বেঁচে থাকেন। যার কারণে এই এলাকার মানুষ বাড়ি-ঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে চায় না। তাই জনগণকে মোখার ভয়াবহতা এবং আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে মাইকিং করা হয়েছে।
অন্যদিকে কোস্টগার্ড মোংলা জোনের পক্ষ থেকে মোংলার পশুর নদীসহ এই উপজেলার দুর্গম এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। নদীতে থাকা মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে মাইকিংয়ের মাধ্যমে মোখা চলাকালীন ও পরবর্তী সময়ে উপকূলীয় অঞ্চলে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা করার লক্ষ্যে খোলা কন্ট্রোল রুমের মোবাইল ফোন নাম্বার (০১৭৬৯৪৪৪৯৯৯) সবাইকে জানাচ্ছেন কোস্টগার্ড সদস্যরা।
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২৩
আরএ