ঢাকা, শনিবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের ৬০তম কনভোকেশন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৬ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২৩
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের ৬০তম কনভোকেশন

ঢাকা: পেশাজীবী প্রকৌশলীদের জাতীয় সংগঠন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি)। স্বাধীনতার পর গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নে প্রকৌশলীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য।

প্রকৌশলীদের শিক্ষার মানোন্নয়ন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধন, বিশ্বের নিত্যনতুন আধুনিক প্রযুক্তির সাথে প্রকৌশলীদের পরিচয় করে দেওয়া, বিদেশি প্রযুক্তিকে দেশের উপযোগী করে প্রয়োগ, বিভিন্ন কারিগরি ইস্যু, উন্নয়ন কার্যক্রমে সরকারকে পরামর্শ ও সিদ্ধান্ত প্রণয়নে সহযোগিতা প্রকৌশলীদের মেধা ও সৃজনশীলতার বিকাশ সাধনে আইইবি ৭৫ বছর ধরে নিরলস কাজ করছে।

১৯৪৮ সালের ৭ মে পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল ঢাকাতে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন স্থাপন এবং এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, পাকিস্তান ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ নামে যাত্রা শুরু করে। আইইবি’র বর্তমানে সদস্য সংখ্যা প্রায় ৪১,৫৪৫ জন। ১৯৭২ সাল থেকে সংস্থাটি ‘ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ’ নামে অভিহিত হয়।

অবকাঠামোখাতে জাতিসংঘের সূচকে বাংলাদেশ ১২ ধাপ এগিয়ে এখন ৮৮তম, যা গত একযুগে বাংলাদেশের ধারাবাহিক অগ্রগতির ফসল। ২০১২ সালে মিথ্যা আন্তর্জাতিক প্রপাগান্ডায় যখন বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু নির্মাণ বনিয়োগ থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয়, তখন আন্তর্জাতিক সব সংস্থার সাথে ডিজাইন, কনসালটেশন বা নির্মানযজ্ঞ সবই করছেন বাংলাদেশি ইঞ্জিনিয়াররা। এছাড়া মেগা প্রজেক্ট মেট্রোরেলেও বাংলাদেশের ইঞ্জিনিয়রা বড় ভূমিকা রেখেছে। মাতারবাড়ি হোক বা এয়ারপোর্টের এক্সটেনশন, এমনকি বঙ্গবন্ধু টানেল বা একের পর এক নাদন্দিক মডেল মসজিদ।

আইইবির ৫টি প্রকৌশল বিভাগীয় কমিটি রয়েছে পুরকৌশল, যন্ত্রকৌশল, তড়িৎকৌশল, রসায়নকৌশল এবং কৃষিকৌশল। এছাড়া সমগ্র বাংলাদেশে এর ১৬টি কেন্দ্র ও ৩৩টি উপকেন্দ্র রয়েছে। বিশ্বের ৭টি দেশ কাতার, ব্যাংকক, কুয়েত, রিয়াদ, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, দুবাই, আরব আমিরাতে এর বৈদেশিক চ্যাপ্টার রয়েছে।

আইইবির চারটি স্বতন্ত্র বোর্ড রয়েছে। এগুলো হলো ইঞ্জিনিয়ারিং স্টাফ কলেজ, বাংলাদেশ (ইএসসিবি), বাংলাদেশ প্রফেশনাল ইঞ্জিনিয়ার্স রেজিস্ট্রেশন বোর্ড (বিপিইআরবি), বোর্ড অব এক্রিডিটেশন ফর ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকিনক্যাল এডুকেশন (বিএইটিই) এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেফটি বোর্ড অব বাংলাদেশ (আইএসবিবি)।

প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন প্রকৌশল প্রশিক্ষণ কোর্স পরিচালনা করে এবং গবেষণা, সেমিনার ও বাৎসরিক কনভেনশনের আয়োজন করে। এটি নিয়মিতভাবে পেশাগত জার্নাল এবং সাময়িকী ও ইঞ্জিনিয়ারিং নিউজ প্রকাশও করে থাকে।

ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন জাতীয় সংস্থায় প্রতিনিধিত্ব করে। এ ছাড়া এটি ৫টি আন্তর্জাতিক প্রকৌশল সংগঠন তথা কমনওয়েলথ ইঞ্জিনিয়ার্স কাউন্সিল (সিইসি), ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অব ইঞ্জিনিয়ারিং অর্গানাইজেশন্স (ডব্লিউএফইও), ফেডারেশন অব ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটশন্স অব সাউথ এন্ড সেন্ট্রাল এশিয়া (ফিয়েস্কা), ফেডারেশন অব ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন অব ইসলামিক কান্ট্রিজ (এফইআইআইসি) এবং ফেডারেশন অব ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনস অব এশিয়া প্যাসেফিক (এফইআইএপি)-এর সদস্য।

শনিবার (১৩ মে) বর্তমান সরকারের লক্ষ্য ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার রোডম্যাপ ৬০তম আইইবি কনভোকেশনে প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দিয়েছে আইবি কর্তৃপক্ষ। বড় মেগা প্রজেক্টগুলো আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের প্রকৌশলীদের সক্ষমতা ও সাফল্যের গল্প উঠে আসছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২৩
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।