ঢাকা: অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় 'মোখা' মোকাবিলায় ও জরুরি সহায়তায় সরকারের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে উপকূলীয় এলাকায় ও সমুদ্র বন্দরগুলোতে কাজ করছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।
উপকূলীয় অঞ্চলের জনমানুষের জানমালের নিরাপত্তায় উপকূল জুড়ে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ৭৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের সঙ্গে কাজ করছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির আট হাজারের বেশি যুব স্বেচ্ছাসেবক।
রোববার (১৪ মে) বিকেলে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্টের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে উপকূলীয় এলাকায় মাইকিং কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবকরা। বিশেষ করে উখিয়া, টেকনাফ ও ভাসানচরের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে সর্বাধিক গুরুত্বের সঙ্গে নিরাপত্তা নিশ্চিতে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন সোসাইটির যুব স্বেচ্ছাসেবকরা।
এছাড়া উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সোসাইটির প্রশিক্ষিত ইউনিয়ন ডিজাস্টার রিস্ক ম্যানেজমেন্ট টিমের (ইউডিআরটি) সদস্যরা প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জামাদি নিয়ে প্রস্তুত রয়েছেন। একইসঙ্গে তাৎক্ষণিক উদ্ধার কার্যক্রমে সহায়তা দিতে সরঞ্জামসহ প্রস্তুত আছে সোসাইটির সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ টিম।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সাধারণ মানুষের শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থাও করা হয়েছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পক্ষ থেকে। মেডিকেল টিমের সঙ্গে প্রস্তুত রাখা হয়েছে অ্যাম্বুলেন্স। এছাড়া তারপলিন, জেরিকেন, স্লিপিং ম্যাট, বালতি, হাইজিন কিটসহ অন্যান্য সামগ্রীও মজুত আছে, যা প্রয়োজনে বিতরণ করা হবে। এছাড়া সোসাইটির সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জাতীয় সদর দপ্তর থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত কর্মস্থলে থাকতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব কাজী শফিকুল আযম বলেন, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে বিপদগ্রস্ত মানুষের জরুরি সহায়তা হিসেবে তাৎক্ষণিকভাবে প্রায় তিনকোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। এছাড়াও ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (আইএফআরসি) সহযোগিতায় আটকোটি টাকার ডিজাস্টার রেসপন্স ইমার্জেন্সি ফান্ডের জন্য আবেদনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আইএফআরসি বাংলাদেশ ডেলিগেশনের হেড অব ডেলিগেশন সঞ্জীব কুমার কাফলে বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করতে আমরা বিডিআরসিএস-এর সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছি। আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা কক্সবাজারের ক্যাম্প এবং অন্যান্য উপকূলীয় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় অবস্থান করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে কাজ করছেন।
ঘূর্ণিঝড় মোখার ক্ষয়ক্ষতি কমাতে আবহাওয়া অধিদপ্তর, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি), আইএফআরসি, আরআরআরসি ও ইউএনএইচসিআর-এর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২৩
এসসি/এসআইএ