কুমিল্লা: অপহৃত ছয় মাদরাসা ছাত্রকে কুমিল্লার লাকসাম উপজেলা থেকে উদ্ধারসহ অভিযুক্ত দুই পাচারকারীকে আটক করেছে পুলিশ।
লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল্লাহ আল মাহফুজ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
উদ্ধার মাদরাসার ছয় ছাত্র হলো- চাঁদপুর ওয়ারলেস বাজারের ফজলুল উলূম হাফেজিয়া মাদরাসার মো. আবু সাঈদ (১৩), নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি আমলনগর এলাকার মেহেরাজ হোসেন (১৪), ঢাকা মুগদার মারকাজুল কওমি মাদরাসার মো. শরিফুল ইসলাম (১২), চট্টগ্রামের অলংকার মোড়ের দারুস সুন্নাহ আল ইসলামিয়া মাদরাসার মো. ইমাম হাসান (১৫), চৌদ্দগ্রামের গুণবতী এলাকার জামিয়া ফারুকিয়া এমদাদুল উলুম মাদরাসার ছাত্র মো. তামিম (১৫) ও চট্টগ্রামের হাটহাজারী এলাকার মো. ফাহিম (১৫)।
আটকরা হলেন- মো. মোবারক হোসেন (৫০) ও ইমন খান জিলন রায়হানকে (২৭) আটক করা হয়।
ওসি আবদুল্লাহ আল মাহফুজ জানান, স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় গতকাল শনিবার দুপুরে জংশন এলাকার আজমিরি হোটেলের সামনে থেকে মানব পাচারকারী চক্রের ওই দুইজনকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কবল থেকে মাদরাসার ওই ছয় ছাত্রকে উদ্ধার করা হয়। পাচারকারীরা বিভিন্ন প্রলোভন ও কৌশলের আশ্রয় নিয়ে এ কোমলমতি শিশুদের নিয়ে অপহরণ করে।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, মোবারক ও ইমনসহ মানব পাচারকারী চক্রের অন্যান্য সদস্যরা পঞ্চগড়, নোয়াখালী, চাঁদপুর, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার মাদরাসা টার্গেট করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রলুব্ধ করে নিজেদের কব্জায় নেয়। পরে তাদের বিভিন্ন স্থানে পাঠানোসহ শারীরিক, মানসিক নিপীড়ন এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের বিভিন্ন কাজ করায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. হাবিবুর রহমান জানান, উদ্ধার হওয়া আবু সাঈদের বাবা শাহীন খান বাদী হয়ে চক্রের আটক ওই দুই সদস্যসহ অজ্ঞাতনামা আরও একজনকে আসামি করে মানবপাচার দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়ঃ ২১০৬ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২২
এসআরএস