ঢাকা, রবিবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কাঁটাবনে পোষা প্রাণীর ব্যবসায় অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৩ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২৩
কাঁটাবনে পোষা প্রাণীর ব্যবসায় অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদ পোষা প্রাণীর মার্কেটে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে কর্মসূচি | ছবি: রাজীন চৌধুরী

ঢাকা: রাজধানীর কাঁটাবনে পোষা প্রাণীর মার্কেটে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদ জানিয়েছে ‘হ্যাপিলি এভার আফটার’ নামে একটি সংগঠন।

বুধবার (১৭ মে) বিকেল ৪টায় কাঁটাবন মার্কেটের সামনে ‘কাঁটাবন মুভমেন্ট’ নামে এই প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এই ব্যবসা বন্ধের দাবি অমূলক। ব্যবসা বন্ধ নয়, ব্যবসায় নিয়ম-নীতি মানা, প্রাণীদের প্রাথমিক অধিকার রক্ষা করার দাবিতে একদল মানুষ একত্রিত হয়েছি।

সামাজিক যোগাযোগ ম্যাধম ফেসবুকে প্রাণী সম্পর্কিত পেইজ হ্যাপিলি এভার আফটারের সত্ত্বাধিকারী করবী শীহাব গত ১০ মে কাঁটাবনে যান। ওই সময়ে গোপনে অব্যবস্থাপনার ভিডিওচিত্র ধারণ করে তা ফেসবুকে প্রকাশ করলে ভিডিওটি ভাইরাল হয়।

এ প্রেক্ষিতে পোষা প্রাণীর ব্যবসার নীতি পরিবর্তনের লক্ষ্যে এই প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার হয়ে নয়, বরং প্রাণীদের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকে সাধারণ মানুষ এই মুভমেন্টে অংশ নিয়েছেন বলে জানান পিলি এভার আফটারের সত্ত্বাধিকারী করবী শীহাব।

প্রতিবাদ সমাবেশের অংশ হিসেবে কাঁটাবনের ব্যবসায়ীদের যুক্তি দিয়ে প্রাণী অধিকার রক্ষার নিয়ম বোঝানো এবং তারা যে নিয়ম মেনে চলবেন এই মর্মে আইনজীবীর উপস্থিতিতে স্বাক্ষর নেওয়া হয়। এ সময় অভয়ারণ্যের ভেটেরিনারি ডক্টর মুজাহিদ ঘটনাস্থলে অসুস্থ প্রাণীদের জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা দেন।

প্রতিবাদ কর্মসূচিতে উত্থাপিত ১০ দাবি হলো-
১. প্রয়োজনে ধারণ ক্ষমতা বাড়াতে হবে অথবা প্রাণীর সংখ্যা কমাতে হবে। কোনভাবেই ছোট খাঁচায় গাদাগাদি করে প্রাণী রাখা যাবে না।

২. প্রাণী রাখার খাঁচা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। নিয়মিত খাঁচা ও দোকান ডিজইনফেক্ট করে রোগের সংক্রমণ রোধ করতে হবে।

৩. খাঁচার মেঝেতে অবশ্যই মোটা করে চটের বস্তা, অথবা কার্ড বোর্ড অথবা পাপোশ বিছাতে হবে। শুধু খাঁচার গ্রিলের ওপর প্রাণীদের রাখা যাবে না।

৪. দোকানের বাইরে রোদের মধ্যে খাঁচা রাখা যাবে না। প্রয়োজনে বড় ছাতা বা শেডের ব্যবস্থা করতে হবে। পর্যাপ্ত বাতাসের জন্য স্ট্যান্ড ফ্যান ব্যবহার করতে হবে।

৫. সব সময় পরিষ্কার পাত্রে, পরিষ্কার পানি ও যথাযথ খাবার সরবরাহ করতে হবে। কোনভাবেই শুধু সাদা ভাত, কাটা, হাড় এসব খাওয়ানো যাবে না।

৬. অসুস্থ প্রাণীকে আলাদা রেখে অবশ্যই ডাক্তার দেখিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে।

৭. অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক কোনো প্রাণী কেনা-বেচা একেবারে বন্ধ করতে হবে।

৮. রাতে দোকান বন্ধ করার পর দোকানের ভেতরের বাতাস চলাচল নিশ্চিত করতে হবে। ফ্যান অন রাখতে হবে যেন ভেতরে গুমোট পরিবেশের সৃষ্টি না হয়।

৯. ঈদ, পূজা বা কোনো দীর্ঘ ছুটিতে মার্কেট বন্ধ থাকলেও প্রতি দোকানে একজন কর্মচারীকে অবশ্যই দায়িত্ব দিতে হবে, যিনি নিয়মিত খাবার দেওয়া ও রক্ষণাবেক্ষণ করবেন।

১০. বিদেশি জাতের প্রাণী বাদে, দেশি প্রাণীকে বিদেশি প্রাণী বা মিক্স ব্রিড দাবি করা যাবে না। এই প্রাণীদের চড়া দামে বিক্রি করা যাবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৭ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২৩
এমকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।