ঢাকা: মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল মনিটরিং শুরু হয়েছে। এ কার্যক্রমে গত মার্চ মাসে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) আওতাধীন নয় অঞ্চলে আকস্মিক পরিদর্শনে ১০১ জন শিক্ষক-কর্মচারী বিদ্যালয়ে অননুমোদিতভাবে অনুপস্থিত ছিল।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর জানায়, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা মার্চ মাসে ডিজিটালি বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে। শিক্ষা কর্মকর্তাদের ডিজিটাল মনিটরিং সিস্টেমের মাধ্যমে পূর্ব ঘোষণা ছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ নিয়মিত পরিদর্শনের মার্চ মাসের প্রতিবেদন অধিদপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন উইং থেকে মাধ্যমিক উইংয়ে পাঠানো হয়। পরিদর্শন প্রতিবেদনে বিভিন্ন জেলার ১০১ জন শিক্ষক ও কর্মচারী পরিদর্শনকালীন অননুমোদিতভাবে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিতির বিষয়টি পরিলক্ষিত হয়েছে।
এতে দেখা যায়, কুমিল্লা অঞ্চলে ১৫ জন, খুলনা অঞ্চলে দুজন, চট্টগ্রাম অঞ্চলে ছয়জন, ঢাকা অঞ্চলে নয়জন, বরিশাল অঞ্চলে ১৭ জন, ময়মনসিংহ অঞ্চলে ছয়জন, রংপুর অঞ্চলে ২৫ জন, রাজশাহী অঞ্চলে ২০ জন, সিলেটে একজন শিক্ষক-কর্মচারী অননুমোদিতভাবে অনুপস্থিত ছিল।
অননুমোদিতভাবে প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত এসব শিক্ষক-কর্মচারীর বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে অধিদপ্তর। গত ১৭ মে অধিদপ্তরের এক চিঠিতে প্রাপ্ত পরিদর্শন প্রতিবেদনের আলোকে পরিদর্শনকালীন অননুমোদিতভাবে প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকার বিষয়ে সুস্পস্ট কারণ পাঁচ কর্ম দিবসের মধ্যে নিজ নিজ জেলা শিক্ষা অফিসে সশরীরে উপস্থিত হয়ে দাখিল করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
মাধ্যমিক উইংয়ের কর্মকর্তারা জানান, অনুপস্থিত থাকার বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার পর বিধি অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২৩
এমআইএইচ/আরআইএস