ঢাকা, রবিবার, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শিপিং লাইনের মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচার হচ্ছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০০ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২৩
শিপিং লাইনের মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচার হচ্ছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী কথা বলছেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, শিপিং লাইনের মাধ্যমে অর্থ দেশের বাইরে পাচার হয়ে যাচ্ছে। আমরা এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছি।

বাংলাদেশের অর্থ যেন বিদেশে পাচার হতে না পারে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।

মঙ্গলবার (২৩ মে) দুপুরে নৌ নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে ‘নদী আমাদের মা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন। নোঙর ট্রাস্টের আয়োজনে জাতীয় প্রেসক্লাবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।  

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের নদীমাতৃক বাংলাদেশ মহান মুক্তিযুদ্ধে কী অবদান রেখেছে, সেটা কী আমরা কখনো গবেষণা করেছি? বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তান কারাগার থেকে বের হয়ে এসে বলেছিলেন, নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে হবে।  

খালিদ মাহমুদ বলেন, ২০০৮ সাল পর্যন্ত বিআইডব্লিউটিএ সাতটা থেকে আটটা ড্রেজারে হচ্ছে না। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর নদীর নাব্যতা নিয়ে ভাবা হয়নি।  

বিএনপির আমলে নদী ও রেলর অবস্থা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নদীকে বাদ দিয়ে, রেলকে বাদ দিয়ে সড়কের জন্য খরচ করা হয়েছে, কেন? গাড়ি আমদানি করার জন্য। এতে সরকারের লোকজনের মুনাফা হবে। তারা সেটাই করেছে।  

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, পৃথিবীর কোনো রাজনৈতিক দলের ইশতেহারে আছে কিনা, আমরা ১০ হাজার কিলোমিটার নৌ-পথ করে দেবো। আওয়ামী লীগ তাদের ইশতেহারে বলেছে। এজন্য জনগণ নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ১৯৭২ সালে, ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা বললেন, ঢাকার চারপাশে সার্কেল নদী হবে। এটা পৃথিবীর কোথাও নাই।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এতগুলো ব্রিজ তৈরি করা হয়েছে, যার নেভিগেশন নাই। এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন, বিআইডব্লিউটিএর অনুমোদন ছাড়া ব্রিজ হবে না। এটা কেউ আগে ভেবেছে? এটা শেখ হাসিনা ভেবেছে, আওয়ামী লীগ ভেবেছে।  

তিনি বলেন, আগামী অক্টোবর ও নভেম্বরের মধ্যে একটি ক্রুস ভেসেল দেশে আসছে। এর মাধ্যমে বিদেশিদের নদী দেখানো যাবে বলেও জানান নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২৩
এমএমআই/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।