ঢাকা, রবিবার, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মোখায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৪ কোটি ২১ লাখ ডলার চেয়েছে জাতিসংঘ

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৪ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২৩
মোখায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৪ কোটি ২১ লাখ ডলার চেয়েছে জাতিসংঘ

ঢাকা: ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী ও বাংলাদেশি জনগোষ্ঠীর জন্য জাতিসংঘ ও এর অংশীদাররা মঙ্গলবার (২৩ মে) ৪ কোটি ২১ লাখ মার্কিন ডলারের আবেদন করেছে। ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের ৩৩টি শরণার্থী শিবির ও আশেপাশের গ্রামগুলোকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

রোহিঙ্গা শরণার্থী সাড়া দানের আওতায় জরুরি আবেদনের মধ্যে রয়েছে শরণার্থী ও বাংলাদেশি জনগোষ্ঠীর কল্যাণে ৩ কোটি ৬৫ লাখ মার্কিন ডলার। এছাড়া টেকনাফের বাংলাদেশি পরিবারের জন্য ৫৬ লাখ মার্কিন ডলার চেয়েছে জাতিসংঘ এবং এর অংশীদার সংস্থাগুলো। এই আবেদনে জরুরি চাহিদা পূরণ, বর্ষার আগে প্রস্তুতি এবং জীবন বাঁচানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ আশ্রয়ণ ও সেবা কেন্দ্রগুলোর জন্য বৈরী আবহাওয়া ও আগুন প্রতিরোধক উপকরণ ব্যবহারের বিষয়গুলো প্রাধান্য পেয়েছে।

গত ১৪ মে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় মোখা। ঘূর্ণিঝড়ে লাখ লাখ বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বাঁশ ও ত্রিপল দিয়ে নির্মিত আশ্রয়কেন্দ্রগুলো ক্ষতিগ্রস্ত ও সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়। আরও অনেকে বিশুদ্ধ পানি এবং অন্যান্য স্যানিটেশন সুবিধার সুযোগ হারিয়েছেন। এছাড়াও শিক্ষা, পুষ্টি, সুরক্ষা এবং অন্যান্য সুবিধাকেন্দ্রগুলোও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত বা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশি ও শরণার্থী জনগোষ্ঠীর ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। আমাদের যা করতে হবে তা হলো স্থাপনাগুলো বৈরী আবহাওয়া এবং অগ্নি-প্রতিরোধক উপকরণ দিয়ে আরও ভালোভাবে তৈরি করা। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে গত মার্চে অনেক শরণার্থী তাদের ঘরবাড়ি হারিয়েছেন এবং পুনরায় সবকিছু নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন। ঘূর্ণিঝড়ের পরে তারা এখন আবার তাদের আশ্রয়কেন্দ্রগুলো পুনর্নির্মাণ করছে এবং আসন্ন বর্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৩ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২৩
টিআর/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।