ঢাকা, সোমবার, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

৩৬ বছর ধরে জায়গা দখল করে রেস্টুরেন্ট, গুঁড়িয়ে দিলো বেবিচক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৬ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২৩
৩৬ বছর ধরে জায়গা দখল করে রেস্টুরেন্ট, গুঁড়িয়ে দিলো বেবিচক সংগৃহীত ছবি

ঢাকা: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

এ সময় গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় মনোলোভা কাবাব অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।

তবে ওই প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী গাজী মো. মূসার দাবি জায়গাটি তিনি লিজ নিয়ে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছিলেন।  

সোমবার (২৯ মে) বিমানবন্দর মহাসড়কের পূর্ব পার্শ্বে এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।  

এ বিষয়ে বেবিচক কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকে জানান, বিমানবন্দরের সামনে বেবিচকের জায়গায় মনোলোভা কাবাব রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন এর সত্ত্বাধিকারী গাজী মো. মুসা। প্রায় ৩৬ বছর তিনি স্থানটি দখল করে ছিলেন। এটি উদ্ধারে মামলা করা হয়। পরে আদালতের নির্দেশে জায়গাটি দখলমুক্ত করতে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

তারা জানান, এই অভিযানে দুই প্লাটুন পুলিশ, আনসার, বেবিচকের নিরাপত্তা কর্মীসহ প্রায় অর্ধশত শ্রমিক অংশ নেন। এ সময় বুলডোজার যন্ত্রের মাধ্যমে ওই স্থাপনাটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।  

বেবিচকের সহকারী পরিচালক (আইন) আবদুল মজিদ জানান, গত ৩০ মার্চ উচ্চ আদালত থেকে বেবিচকের পক্ষে একটি রায় আসে। তাতে বলা হয়, ৬০ দিনের মধ্যে ওই জায়গা ছেড়ে দিতে হবে। কিন্তু ৬০ দিন পার হয়ে গেলেও জমিটির দখল না ছাড়ায় বেবিচকের অভিযান চালাতে হয়েছে।

অন্যদিকে, মনোলোভা কাবাব রেস্টুরেন্টের মালিক গাজী মো. মুসা বলেন, বেবিচকের কাছ থেকে লিজ নিয়ে কোটি টাকা খরচ করে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলি। ৩৬ বছর ধরে সেখানে হোটেল ব্যবসা করে আসছিলাম। কিন্তু আদালতের রায়ের নামে আমার প্রতিষ্ঠানটি তারা ধসিয়ে দিয়েছে। আদালতের দেওয়া সময় অনুযায়ী আমার হাতে আরও দুদিন আছে। কিন্তু অন্যায়ভাবে বেবিচক আমার হোটেলটি উচ্ছেদ করেছে।

বেবিচকের সদস্য প্রশাসন (অতিরিক্ত সচিব) মাহবুব আলম তালুকদার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বেবিচকের জায়গা দখল করে ছিল রেস্তোরাঁটি। আদালতের নির্দেশেই এটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২৩
এমকে/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।